গরম হোক বা শীত, বর্ষা হোক বা গ্রীষ্ম, নিজের খেয়াল তো রাখাই হয় না৷
শরীরের সঙ্গে ত্বক, চুল সব নষ্ট হতে থাকে৷ সানস্ক্রিন লোশন মেখে আপনি ত্বককে না হয় বাঁচালেন৷
কিন্তু স্কার্ফ দিয়ে চুল ছাকলে চুলের ক্ষতি হয়।
তাই যেকোনো ওয়েদারে সাধারণ হেয়ারকাটে না গিয়ে কেটে ফেলুন ট্রেন্ডি ইউনিক হেয়ারকাট৷ নিচে আপনাদের সুবিধার্থে তা উল্লেখ করা হলো।
১) অ্যাঙ্গুলার ব্লান্ট কাট
হলিউড অভিনেত্রী মারগট রবির কারণে এই হেয়ারকাট জনপ্রিয়তা লাভ করে৷
সাধারণত ঘার অবধি চুলের উচ্চতা থাকে এই হেয়ারকাটে৷ তবে মাঝখানে সিঁথি করা একেবারে চলবে না৷
হেয়ারকাটটি করার সময়ই এক পাশে সিঁথি করতে হয়৷ সেইভাবেই পুরো হেয়ারকাটটা হবে৷ তাই জন্যই এটাকে অ্যাঙ্গুলার ব্লান্ট কাট বলে৷
২) সেভেন্টিস স্যুপ
এটি আসলে সত্তরের দশকের হেয়ারকাট৷ যা আবারও ফিরে এসেছে ২০১৮ সালে ৷
মাঝখানে সিঁথি করে রাখতে হয় এই হেয়ারকাটে।
সামনের দিকটা হালকা লেয়ারস থাকে৷ সেটাই এই হেয়ারকাটের ইউএসপি৷
৩) রেজার শার্প
এটা সাধারণত ঘন চুলের নারীদের ক্ষেত্রে মানায় বেশি।
চুলের আগাটা আসলে কাটা হয় রেজার দিয়ে৷ এই হেয়ারকাটে তেমন লেয়ারস থাকে না৷
রেজার দিয়ে কাটা হয় বলেই এর নাম রেজার শার্প৷
৪) কার্লি বব
শর্ট হেয়ারের যেকোনো লেন্থেই এই হেয়ারকাটটি মানিয়ে যায়৷
যাদের চুল খানিকটা কোকরানো হয় তাদের এটা আরও বেশি মানাবে৷ মাঝখানে কিংবা পাশে যেকোনও জায়গায় সিঁথি করা যায়৷
৫) বেবি ব্যাংস
ছোটবেলায় এই হেয়ারকাট আমরা সকলে কমবেশি কেটেছি৷
কারণ সামনে ছোট ছোট ফ্রিঞ্জেস প্রত্যেক মেয়েরই থাকতো৷
ছোটবেলার সেই হেয়ারকাট আবারও ফিরিয়ে আনুন৷ পেছনের চুলগুলো একটু লম্বাও রাখতে পারেন৷
৬) ফাজি ফ্রিঞ্জ
বেবি ব্যাংস এবং ফাজি ফ্রিঞ্জ খানিক একই রকমের তবে এই হেয়ারকাটের বিশেষত্ব হল ফ্রিঞ্জেস৷
এই হেয়ারকাট গুলি সবরকম বয়সেই মানেবে৷
৭) ওয়েভি লব
লম্বা হোক বা ছোট, এই হেয়ারকাটটি ইউনিভার্সাল৷ এমনকি পাতলা কিংবা ঘন দুইরকম চুলেই মানাবে৷
৮) সাইড ব্যাং
এই হেয়ারকাটটি পুরোপুরি নির্ভর করছে আপনার স্টাইলিংয়ের উপর৷ আপনি যেভাবে ইচ্ছে স্টাইলিং করতে পারেন৷
খোলা রাখলে একদিকের লক্স ঝুলিয়ে রাখতে পারেন৷
৯) ক্লাউড রিংলেটস
কোকরানো চুলে এই হেয়ারকাটটি বেশি উপযুক্ত।
আপনি চাইলে হেয়ার কার্লার দিয়েও মাঝে মধ্যে চুল কার্ল করে নিতে পারেন৷
১০) উইস্পি ব্যাং
লম্বা চুলে আনুন হালকা কুল লুক৷ সামনে লাইট ফ্রিঞ্জ কেটে নিয়ে বাকি চুলটা দু-তিনটে স্টেপ কেটে নিন৷