যা-ই খাচ্ছেন না কেন, অ্যাসিডটি হচ্ছে? চোঁয়া ঢেকুরের জ্বালায় গলা-বুক জ্বলছে সারাক্ষণ?
আপাতদৃষ্টিতে খুব বিরক্তকর সমস্যা বলে মনে হলেও এই পরিস্থিতি বেশিদিন চলতে দেওয়া ঠিক নয়।
চলতি কথায় আমরা যাকে ‘অ্যাসিড’ বলি, তা হচ্ছে খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসট্রিক জ্যুস।
স্বাভাবিক অবস্থায় এগুলি নিম্নগতির হয়, খাবার হজমে তার সক্রিয় ভূমিকা থাকে।
যখন তা নিচের দিকে না গিয়ে উপরে উঠে আসে, তখন শরীরে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বেশিদিন এরকম চলতে থাকলে বাড়বে ইনফ্লামেশন।
ধীরে ধীরে কনস্টিপেশন সহ নানা সমস্যা আপনাকে ভোগাতে আরম্ভ করবে।
তাই এখনই এই পরিস্থিতির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন, যত বেশি অ্যান্টাসিড খাবেন, শরীর তত বেশি খারাপ হতে আরম্ভ করবে।
তাই আস্থা রাখুন ঘরোয়া সমাধানে।
খালি পেটে লেবুর জল
শুনতে একটু আশ্চর্য লাগলেও উষ্ণ জলে লেবু চিপে খেয়ে দিন শুরু করলে নিশ্চিতভাবেই উপকার পাবেন।
লেবুর প্রভাবে আপনার সিস্টেম অ্যালকালাইজড বা ক্ষারীয় হবে, বাড়তি অ্যাসিডের প্রভাব কেটে যাবে।
জিরে ও জোয়ানের জল
সারা রাত একলিটার জলে এক চাচামচ জিরে ও এক চাচামচ কাঁচা জোয়ান ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে খালি পেটে এই জলটা ছেঁকে পান করুন। জিরে আর জোয়ান হজমশক্তি বাড়ায়।
মৌরি ভেজানো জল
সারা রাত এক চাচামচ মৌরি ভিজিয়ে রাখুন জলে। পরদিন ছেঁকে খেয়ে নিন।
বিশেষ করে গর্ভবতী ও স্তন্যদান করছেন এমন মায়েদের ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া সমাধানটি দারুণ কাজের।
ঠান্ডা দুধ
ঠান্ডা দুধের ক্যালশিয়াম অ্যাসিডের বাড়াবাড়ি শোষণ করে নেয়।
তাই অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ঠান্ডা দুধের উপর আস্থা রাখার পরামর্শ দেন।
তবে যাঁদের দুধ হজম করতে অসুবিধে হয়, তাঁরা এ পথে হাঁটবেন না।
ঘোল
দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিডও কিন্তু বাড়তি অ্যাসিডের হাত থেকে মুক্তি দিতে খুব কার্যকর।
তাছাড়া ঘোলের প্রোবায়োটিকের প্রভাবেও অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আদা
হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধানে আদা দারুণ কার্যকর। বিশেষ করে যাঁরা অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন।
এজন্য একইঞ্চি আদা আর গোটা চার-পাঁচ পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে জলে ফুটিয়ে নিন।
চায়ের মতো পান করুন চুমুক দিয়ে। নিয়মিত সেবনে মুক্তি পাবেন অ্যাসিডিটি হতে।