Search
Close this search box.

বাঙালি নারীদের জন্য দরকারি অ্যান্টি এজিং ফর্মুলা

কাজের প্রেশার, দুশ্চিন্তা, চারিদিকের পরিবেশ দূষণ, স্ট্রেস সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ত্বকে বয়সের অনেক আগে থেকেই বয়সের ছাপ পরে যাচ্ছে। কুড়িতেই যেনো বুড়ি হয়ে যাচ্ছি আমরা।

এ ব্যাপারে আলোচনার শুরুতেই আমাদের মেনে নিতে হবে যে বয়স হলে সেটার ছাপ পড়বেই, তবে স্কিন কেয়ারের মাধ্যমে সেটা কমানো যায় কিন্তু আটকানো অসম্ভব।

কারন বয়স বেড়ে যাওয়াটা একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। আর প্রকৃতির সাথে লড়াই করাটা ভীষণ অপ্রাকৃতিক।

অ্যান্টি এজিং কেনো দরকার?

কৈশোরে অর্থাৎ মোটামুটি তেরো-চোদ্দ বছর বয়স থেকে শুরু করে বছর দশেক আমাদের ত্বক তার শ্রেষ্ঠ অবস্থায় থাকে।

ঐ সময়টাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ব্রণ। এই সমস্যায় মোটামুটি সবাই কমবেশি পড়ে থাকেন। এছাড়া ঐ সময়টাতে ত্বক নিয়ে আর বড় কোনো সমস্যা আমাদের পড়তে হয় না।

সমস্যাটা তখনই শুরু হয়, যখন আমাদের বয়স বাড়তে শুরু করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে, এবং ত্বকের এজিং প্রক্রিয়া শুরু তরান্বিত হতে থাকে।

এই কারণেই তখন অ্যান্টি এজিং চর্চাটা দরকার হয়ে পড়ে।

সাধারণত ২৫ বছর বয়সের আগে আমাদের ত্বকে পর্যাপ্ত কোলাজেন আর ইলাস্টিন টিস্যু তৈরি হয়, ত্বকের ক্ষতিও কম হয়।

তারপর থেকে কিন্তু কোলাজেন আর ইলাস্টিনের পরিমাণ কমতে থাকে, ফলে ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা কিংবা বলিরেখা পড়া শুরু হয়।

তাই অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ার শুরু করার আদর্শ বয়স হিসেবে ২৫ বছরকে ধরা যেতে পারে।

মনে রাখবেন, ৩৫ বছর বয়সের পরে কোলাজেন আর ইলাস্টিন তৈরির পরিমাণ আরও কমে যায়, ত্বকে কুঞ্চন পড়তে থাকে।

ফলে আপনার বয়স যদি ২৫ বছরের বেশি হয় আর এখনও অ্যান্টি এজিং ত্বক পরিচর্যা শুরু না করে থাকেন, তাহলে আর দেরি না করে শুরু করে দিন!

বিশেষ করে আমরা, বাঙালি নারীরা স্কিন কেয়ারের প্রতি বেশ উদাসীন থাকি।

তাই আমাদের অনেক অল্প বয়সেই বেশ বয়স্ক দেখা যায়। এই টেন্ডেন্সিটা আমাদের উপমহাদেশে খুবই কমন।

কিন্তু আমরা চাইলেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন এনে এই বয়সের ছাপ পরে যাওয়ার ব্যাপারটাকে ধীর গতির করতে পারি।

এই আর্টিকেলে তেমন কিছু অভ্যাস এবং পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করবো, যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ার করতে পারবো।

এজিং রুখে দেবার জন্য সবার আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম

ঘুম ঠিকমতো না হলে চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল পড়ে যায় খুব সহজেই। ত্বকে বলিরেখার আনাগোনা শুরু হয়।

কেমন যেনো বিষন্নতার ছাপ পড়ে থাকে পুরো মুখজুড়ে। এতে আরো বয়স্ক দেখায় আমাদের।

রাতে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা যতো দ্রুত সম্ভব বাদ দিতে হবে।

রাত জেগে থাকলে আমাদের করটিসল নামে হরমোন বেশি নিঃসরিত হয় যা আমাদের শুধু যে স্কিন এর ক্ষতি করে তা নয়, আমাদের দেহে অনেক জটিল রোগের সৃষ্টি করে।

চেহারায় গ্লো এবং ফ্রেশনেস ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন গড়ে ৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার। তাই রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

আর রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়া চলবে না। খাবার হজম হবার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই সফট কাপড়ের পরিস্কার বালিশের কভার ব্যবহার করা জরুরি।

এটা যে শুধু স্কিন এর জন্য উপকারি তা নয়, চুলের জন্যও খুব উপকারি।

অ্যান্টি এজিং ফর্মুলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাদ্যাভ্যাস

গড়ে একজন মানুষের ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত প্রতিদিন। তবে নির্ভর করছে আমরা কী ধরনের কাজ করছি তার উপর।

যদি শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়ে থাকে তবে পানি পানের পরিমাণও বাড়াতে হবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পানি পান করার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।

এতে করে পাকস্থলী পরিস্কার হবে, যার মাধ্যমে লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

একটি স্থিতিশীল লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম শরীরে একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা আমাদের সুস্থতা বজায় রাখবে।

গ্রীন টি খুবই স্বাস্থ্যকর একটা পানীয়। এটা সঠিকভাবে পান করা গেলে শরীরে উপকার হয়, সতেজতা বাড়ে। তাছাড়া খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল রাখতে হবে।

প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বাদাম খাওয়াটা খুবই ভালো অভ্যাস। সবুজ শাক-সবজিও খেতে হবে নিয়ম করেই। যতোটুকু সম্ভব প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলতে হবে।

ফাস্ট ফুড কিংবা বাইরের খাবার মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

কোনোকিছু খেতে ইচ্ছে করলে, ইউটিউব বা গুগল থেকে রেসিপি কালেক্ট করে নিজেই রান্না করার অভ্যাস করতে হবে।

সালাদ খেলে শরীর এবং ত্বকের খুব উপকার হয়। তাই সবুজ শাক-সবজি কিংবা ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

তেল বা চিনি জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে। এই দুইটি উপাদান আমাদের শরীর এবং ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

তাই মাত্রাতিরিক্ত তেলতেলে খাবার কিংবা চিনি গ্রহণ করা যাবে না। নতুবা অকালে ত্বকের চামড়ায় ভাজ পড়া শুরু করবে।

অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ারের জন্য দৈনন্দিন জীবনে যে পরিবর্তনগুলো প্রয়োজন

আমাদের বয়সের ছাপটা কিন্তু সবার আগে চোখে ধরা পড়ে। তাই আমাদের চোখের যত্নের প্রতি আলাদা খেয়াল রাখতে হবে।

আমরা সবাই কম বেশি কাজল দিতে পছন্দ করি।

কাজল কিংবা আইলাইনার দিতে গিয়ে চোখ ধরে টানা টানি করা যাবে না। এতে চামড়ায় ভাজ পড়ে যায়।

যে কোনো প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহারের আগে আমাদের অবশ্যই মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ যাচাই করে নিতে হবে।

ক্সপায়ার ডেইট চেক করে নেয়াটা খুবই জরুরি। এছাড়াও ব্র্যান্ড এর ব্যাপারটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মানের পণ্য ব্যবহার করতে হবে।

ইন্টারনেটের যথাযোগ্য ব্যবহার করতে হবে। কোনো মুখরোচক বিজ্ঞাপন কিংবা অফারে আকৃষ্ট না হয়ে, প্রথমেই কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টটি সম্পর্কে গুগল করে জানার চেষ্টা করতে হবে।

ভালো ব্র্যান্ডের পণ্য কিনা, কিংবা এর রিভিউগুলো কেমন, ত্বকের ধরনের সাথে মানানসই কিনা এসব জানার চেষ্টা করতে হবে।   

এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পর যদি আপনার শরীরে অ্যালার্জিক রিএকশন দেখা দেয় তবে সেটি সাথেসাথে ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে হবে।

প্রয়োজনে ভালো কোনো ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।

অনেক সময়, অনেক প্রোডাক্টই অনেকের স্কিনে স্যুট করে না। এটা খুব বড় একটা ফ্যাক্ট।

ঘুমানোর আগে অবশ্যই সকল মেকআপ ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে

নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে আমরা যা যা ব্যবহার করি, সেগুলোর বেশির ভাগই রাসায়নিক।

ফলে ব্যবহারের পর সেগুলোকে সঠিকভাবে তুলে ফেলতে হয়, নইলে ত্বকের ক্ষতি হয়।

সঠিকভাবে মেকআপ না তুললে- বলিরেখা, রিংকেলস বা চামড়ায় ভাজ পড়ে যায় ধীরে ধীরে।

বেশি ঘষে ঘষে কিংবা তাড়াহুড়া করে মেকআপ তুলবেন না। আস্তে আস্তে আলতোভাবে মেকআপ তুলুন।

মেকআপ তোলার জন্য তেল ব্যবহার করাটা বিধিসম্মত নয়।

ক্লিনজিং ওয়াটার দিয়ে ভিজিয়ে কটন প্যাড ব্যবহার করুন। মেকআপ শুধু পানিতে পরিস্কার হয় না।

খালি চোখে দেখা না গেলেও চামড়ার উপর মেকআপের অংশবিশেষ রয়ে যায়।

ফলে ত্বকে ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই ক্লিনজার ব্যবহার করাটা খুবই জরুরি।

খেয়াল রাখবেন, মেকআপ ঠিকমতো না তুলে কখনোই ঘুমাতে যাবেন না। ত্বকের যত্নে সঠিকভাবে মেকআপ তোলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চোখের মেকআপ তোলার জন্য যা ব্যবহার করতে পারেন

খুবই আলতোভাবে আই মেকআপ রিমুভের জন্য ব্যবহার করতে পারেন Simple Kind To Skin Eye Make-Up Remover

তুলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আই মেকাপ রিমুভার নিয়ে আলতো করে চোখে চেপে আই মেকআপ রিমুভ করতে হবে।

চোখ খুবই সেন্সিটিভ এড়িয়া, তাই সাবধানতার বিকল্প নেই।

রাতে ঘুমানোর আগে চোখের চারপাশে ম্যাসাজ করে নেবেন। Simple Kind To Eyes Soothing Eye Balm এক্ষেত্রে বেশ উপকারে আসবে।

Some By Mi Snail Truecica Miracle Repair Starter Kit  এ থাকা সিরামগুলো ব্যবহার করলে, চোখের যত্ন নেয়াটা সহজ হয়ে যায়।  

কপাল কুঁচকানোর অভ্যাস থাকলে এখনি বাদ দিতে হবে। এতে চামড়ায় ভাজ পড়ে যায়।

দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। যতোটা সম্ভব স্ট্রেস ফ্রী থাকার চেষ্টা করতে হবে।

চোখের পাশাপাশি হাত-পায়ে ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ আগে লক্ষ্য করা যায়। তাই নিয়মিত প্যাডিকিওর এবং ম্যাকিকিওর করাও খুব জরুরি।

অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ার এর জন্য যে রুটিন ফলো করা জরুরি

স্কিনকেয়ারের জন্য “সিটিএম” একটি গুরুত্বপূর্ণ রুটিন। সি ফর ক্লিনজিং, টি ফর টোনিং, এম ফর ময়েশ্চারাইজিং।

এই তিনটি সহজ ধাপে আপনি আপনার ত্বক ভেতর থেকে পরিস্কার করে যত্ন নিতে পারবেন।

এতে করে করে একনে, স্কিন ড্যামেজ বা এজিং থেকে রক্ষা পাবেন। ত্বক দূষণমূক্ত রাখতে রাখতে সবচেয়ে প্রথম কাজ কিন্তু ক্লিনজিং।

আর যদি একনে, পিগমেন্টেশন, বলিরেখা থেকে ত্বক দূরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই করুন ডাবল বা ডিপ ক্লিনজিং। ক্লিনজিং এর পরের ধাপ হলো টোনিং।

আপনি যখন ক্লিনজার দিয়ে স্কিন পরিষ্কার করছেন, এতে স্কিনের ভেতরে জমে থাকা ধুলো ময়লা পরিষ্কার হয়ে স্কিন পোরস কিন্তু ওপেনই থাকে।

এরপর টোনার সেই ওপেন পোরসগুলো বন্ধ করে। না হলে কিন্তু ওপেন পোরসের সমস্যা হবে। এবং টোনার স্কিনের পিএইচ ব্যাল্যান্সকে ঠিক রাখে।

এককথায় টোনার স্কিনের ক্লিনজিং প্রসেসকে সম্পূর্ণ করে। প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিনের শেষ ধাপ হলো ময়েশ্চারাইজার।

টোনার লাগানোর পর স্কিন অনেক সময় একটু শুকনো লাগে। তাই এরপর ময়েশ্চারাইজার। ময়েশ্চারাইজার স্কিনকে নারিশ করে। হাইড্রেটেড রাখে।

স্কিনের ময়েশ্চার হারিয়ে গেলে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং চলে আসে। তাই প্রতিদিন অবশ্যই দরকার ময়েশ্চারাজার।

মনে রাখবেন, এই যত্নগুলো নিয়মিত নিতে হবে। তাহলেই পাবেন হেলদি গ্লোয়িং স্কিন।

এছাড়াও কিছু জরুরি স্কিন কেয়ার রুটিন রয়েছে

এক্সফোলিয়েশন

সপ্তাহে ২ বারের বেশি ত্বকে এক্সফোলিয়েট করা যাবে না। স্কিনে কখনো স্ক্রাব ঘষে ঘষে লাগানো যাবে না।

এতে করে স্কিন ঝুলে পড়বে। হালকা করে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে স্ক্রাব করতে হবে।  

লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ ম্যাসাজ

ইউটিউবে বেশ কিছু ভালো ভালো টিউটোরিয়াল আছে যা দেখে এই ম্যাসাজটি শেখা এবং করা যায়। এতে করে রেজাল্টও পাওয়া যায় অবিশ্বাস্য।

ট্রাই করলেই পরবির্তন চোখে পড়বে।

ফেইস ম্যাসাজিং

ফেইসের সাথে সাথে আমাদের গলায় বা নেক এরিয়াতে সবার আগে আন্টি এজিং এর সাইন দেখা যায়। ভালো মানের ম্যাসাজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে স্কিনে ম্যাসাজ করতে হবে প্রতিদিন।

সানস্ক্রিন এর ব্যবহার

অনেক গবেষণায় দাবী করা হয়, ৫৫ বছর বয়সের নিচের যারা নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করে তাদের ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যা শতকরা ২৪ শতাংশ কমে যায়। 

সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে, তাই সানস্ক্রিম ছাড়া যদি ঘুড়ে বেড়ান তবে ত্বকের কিন্তু একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা হবে।  

রোদে বের হলে ব্রড স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন মাখতেই হবে। রাতের ক্রিমে যেন রেটিনল অবশ্যই থাকে।

রেটিনলযুক্ত ক্রিম বা লোশন আপনার ত্বকের কোলাজেন সুরক্ষিত রাখবে।

অবশ্যই এস.পি.এফ এর মাত্রা দেখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

এস পি এফ ছাড়া সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে কোনও লাভ হবে না।

“এস.পি.এফ” কী?

‘এস.পি.এফ’ এর অর্থ ‘স্পেসিফিক প্রোটেকশন ফ্যাক্টর’।

যে কোনও সানস্ক্রিন আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে, ‘এস পি এফ’ দিয়ে আদতে সেটাই মাপা হয়।

সানস্ক্রিনে এই এই এস.পি.এফ এর মাত্রা যতটা বেশি হবে, আপনার ত্বকের সুরক্ষাও ততটা বেশি হবে।

অর্থাৎ, এস.পি.এফ-৩০ যতটা সুরক্ষা দেবে, এস.পি.এফ-৫০ এর ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবে তার চেয়ে বেশি সুরক্ষা পাওয়া যাবে।

চেষ্টা করুন নূন্যতম এস পি এফ-৫০ ব্যবহার করার। এতে করে ত্বক এর ক্ষতি হবে না এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে। 

Neutrogena Ultra Sheer Dry-Touch SPF 55 সানস্ক্রিনটি যে কোনো স্কিন টাইপের জন্য ভালো হবে। রেগুলার ইউজ এর জন্য বেস্ট চয়েস।  

ভালো নাইট ক্রিম এর ব্যাবহার

রাতে আমাদের স্কিন রিপেয়ার হয়ে থাকে, তাই ভালো মানের অ্যান্টি এজিং ক্রিম এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ত্বকের এর জন্য ভিটামিন ই এর জুড়ি নেই।

The Body Shop Vitamin E Gel Moisture Cream আপনাকে ভালো রেজাল্ট দিবে।

তবে আরোও বেটার রেজাল্ট পেতে পাশাপাশি The Body Shop Vitamin E Hydrating Toner ব্যবহার করুন।

এদিকে L’Oreal Paris Revitalift Face Contours and Neck Cream হলো একটি সিক্রেট খাজানা।

শুধু ফেইস নয়, ফেইস এর সাথে ঘাড়েও এই ক্রিমটি ব্যবহার করা যায়। অ্যান্টি রিংকেলসের জন্য খুবই কার্যকরী ক্রিম।

ক্রিম কিংবা সিরাম ব্যবহার এর সঠিক নিয়ম

কোনো ক্রিম, কিংবা সিরাম যা-ই ব্যাবহার করি না কেনো- স্কিনে ঘষে ঘষে কখনোই অ্যাপ্লাই করা যাবে না। অপরিস্কার হাত কখনোই মুখে ঘষা যাবে না।

প্রথমে হাত ভালোভাবে পরিস্কার করে তারপর অ্যাপ্লাই করতে হবে।

আস্তে আস্তে আলতোভাবে মুখে সিরাম অ্যাপ্লাই করতে হবে। এভাবে ত্বক ধীরে ধীরে তা শুষে নেবে।

অ্যান্টি এজিং সিরাম এর হিসেবে The Ordinary Ascorbyl Glucoside Solution 12% Brightening Serum ব্যাবহার করতে পারেন।

এটা যে শুধু অ্যান্টি এজিং এর জন্য কাজে দিবে তা নয়। এতে আছে অ্যাসকর্বিক এসিড যা ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

The Ordinary Niacinamide 10%+Zinc 1%  এই সিরামটির কার্যকারিতা অনেক। এতে আছে  Vitamin B3 যা এককথায় স্কিন এর বেস্ট ফ্রেন্ড।

গুগল করে রিভিউ দেখে নিতে পারেন। প্রাণহীন, শুষ্ক ত্বকে প্রান ফিরিয়ে আনতে, স্কিনকে বেবি সফট, ক্লিয়ার এবং ব্রাইট করতে এই সিরাম যাদুর মতো কাজ করে।

স্কিন কেয়ার রুটিনে দিনে দুইবার ভালো করে স্কিন ক্লিন করে টোনার ব্যবহার করতে হবে।

আলতো করে ফেইসে ড্যাব করে সিরামটি ব্যবহার করা সহজ। এবং খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের পরিবর্তন লক্ষণীয়।

এবং কিছু কথা

আন্টি এজিং স্কিন কেয়ারের শেষ বলতে কিছু নেই আসলে।

এটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

অ্যাডিশনাল কেয়ার হিসাবে শীট মাস্ক আর বিভিন্ন ফেইস প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন।

এখন প্রশ্ন হলো কোথায় পাবো অরিজিনাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট? চিন্তা নেই। আমরা আছি!

আপনি অনলাইনে অথেকটিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে পারেন গ্ল্যামোজেন শপ থেকে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান।

জরুরি কোনো ফর্মুলা নিয়ে আবারও গ্ল্যামোজেন হাজির হবে আপনার কাছে।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর নিজের যত্ন নিন।