অনিয়মিত খাবার গ্রহণ ও জীবন যাপনের কারণেই আলসারের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন।
এক্ষেত্রে প্রথমত সবাই ভেবে থাকেন বোধ হয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়েছে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাটিই পরবর্তীতে আলসারে পরিণত হয়।
আলসারের ফলে পেটে ব্যথা, বুক জ্বালা পোড়া, মাত্রাতিরিক্ত হেঁচকি ওঠা, বমি ভাব, পিঠে ব্যথা হয়ে থাকে।
আলসার মূলত দুই ধরণের হয়ে থাকে- পাকস্থলীর ও অন্ত্রের আলসার।
জানা যায়, বিশ্বের ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ আলসারের সমস্যায় ভুগছেন।
মধু
এক গ্লাস কুসুম গরম জলে এক টেবিল চামচ মধু এবং এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
প্রতিদিন দু’বার খেলে এটি আলসারের সমস্যা কমতে সাহায্য করে।
রসুন
একটি গবেষণা অনুসারে, রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যার শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এটি হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরির সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।
এই ব্যাকটেরিয়া পেপটিক আলসার (Peptic Ulcers) সৃষ্টি করে। এটি আলসার হতে বাধা দেয় এবং দ্রুত নিরাময়েও কাজ করে।
প্রতিদিন ২-৩ কোয়া রসুন সবজিতে রেখে খান।প্রতিদিন ১টি করে রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
হলুদ
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন নামক একটি যৌগ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
যার কারণে পেটে আলসার (Peptic Ulcers)সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়তে পারে না।
এর সঙ্গে, এটি রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং প্রদাহ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও কাজ করে।
এক গ্লাস কুসুম গরম জলে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে এই মিশ্রণটি ২-৩ বার পান করুন।
স্বাদের জন্য আপনি এতে মধুও যোগ করতে পারেন।
বাঁধাকপির রস
এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাঁধাকপি আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে।
এটি আলসারের একটি জনপ্রিয় এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা।
পেটের আলসার নিরাময়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাওয়ার কয়েক দশক আগে এটি ডাক্তাররা ব্যবহার করেছিলেন বলেও মনে করা হয়।
আসলে, বাঁধাকপির রসে এমন যৌগ রয়েছে যা পেটের আলসার প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে।
বাঁধাকপি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা একই রকম প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
জুসারে বাঁধাকপি রেখে জুস তৈরি করুন। প্রতিদিন ১ কাপ রস আলসারে খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।