ঘুমানোর অভ্যাস আমাদের একেক জনের একেক রকম। ঘেউ ঘুমাতে চায় সন্ধ্যা রাতে কেউ বা মাঝরাতে আবার কেউ শেষ রাতে।
কিন্তু ঘুমানোর এই অভ্যাসের ওপর শরীরের অনেক কিছুর পরিবর্তন নির্ভর করে।
বিশেষ করে দেরি করে ঘুমাতে গেলে আমাদের শরীরের ভেতরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়, পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার ধরনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
ফলে হার্টের ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকাল ৭ থেকে ৮টার মধ্যে উঠে যাওয়ার কারণে ঘুমের কোটা সম্পন্ন হয় না।
ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেরে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে রাত ১১টার পর ঘুমাতে গেলে হার্টের রোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায়, তেমনি আরও কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
জেনে নেওয়া যাক দেরিতে ঘুমানোর ফলে শরীরের সেই সম্ভানাময় রোগগুলো সম্পর্কে।
স্ট্রেস বাড়বে কমবে আয়ু
অনেককেই ব্যস্ততার কারণে দেরি করে ঘুমাতে হয়।
কিন্তু অফিসে যাওয়ার কারণে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে যেতে হয়।
ফলে ঠিক মতো ঘুম না হওয়ার কারণে দেহের ভেতরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে শুরু করে।
আর এমনটা হওয়ার কারণে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার ভয় তো থাকেই।
সেই সঙ্গে আরও হাজারখানেক রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
ওজন বৃদ্ধি পায়
দিনের পর দিন রাতে জেগে থাকলে খাবার ঠিক মতো হজম হতে পারে না।
ফলে একদিকে যেমন গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তেমনি ওজনও বাড়তে শুরু করে।
আর ওজন বাড়লে ধীরে ধীরে সুগার, প্রেসার এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগ এসে শরীরে বাসা বাঁধে।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে
রাতের বেলা মস্তিষ্কের আরাম নেওয়ার সময়।
তাই এই সময় কাজ করলে ধীরে ধীরে ব্রেনের ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
সেই সঙ্গে ডিপ্রেশন, হাইপোলার ডিজঅর্ডার, স্লো কগনিটিভ ফাংশন, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়াসহ আরও সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
ব্লাড প্রেসার বাড়তে শুরু করে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করলে শরীর এবং মস্তিষ্কের ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে।
যে কারণে ব্লাড প্রেসার বাড়তে সময় লাগে না।
এ ছাড়া কিডনির যেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়, তেমনি স্ট্রোক এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও বেড়ে যায়