রান্নার ইতিহাসে তেজপাতা একটি পরিচিত নাম। রান্নার মশলা হিসেবে তেজপাতা সাধারণত ব্যবহিত হয়।
কিন্তু জানেন কি এই তেজপাতায় ঔষুধি গুনাগুণ আছে।
প্রাচীন সময় থেকে তেজপাতা মশলার পাশাপাশি ঘরোয়া ঔষুধ হিসেবে ব্যবহিত হয়ে আসছে।
তেজপাতা শরীরকে ফিট রাখতে নানান ভুমিকা পালন করে।
আসুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক তেজপাতার গুনাগুণ।
তেজপাতার গুনাগুণ
অনেক সময় সর্দি হলে গলা শুকিয়ে যায় কাশতে কাশতে। গলার ভিতর অস্বস্তি হতে থাকে। বেশি কথা বলা যায় না।
জোরে কথা বললেই গলা চিঁরে যায়। তেজপাতা এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করে দিতে পারে।
এরকম পরিস্থিতিতে ২ থেকে ৩ টে তেজপাতা নিয়ে থেঁতলে নিন। দিনে ২ থেকে ৩ বার খেতে থাকুন এই সময়। দেখবেন আরাম পাবেন।
মুখে যদি কোন দাগ থাকে তাহলে তেজপাতার পেস্ট লাগালে বা তেজপাতা দিয়ে ফোটানো জল, ঠাণ্ডা করে তা দিয়ে মুখ ধুলে সেই দাগ চলে যায়।
তবে নিয়মিত মুখে তা প্রয়োগ করলে দাগ যাবে।
ঘরোয়া ব্যবহার
জামা কাপড়ের মধ্যে অনেক সময় পোকা দেখা দেয়। বিশেষ করে পশমের কাপড় বা সিল্কের কাপড় অনেকদিন আলমারিরে পরে থাকলে।
জামার মধ্যে যদি শুকনো তেজপাতা রেখে দেওয়া যায় তাহলে কোন পোকা হয় না। কাপড় একদম ঠিক থাকে।
তেজপাতার ঔষধি গুন
বৈজ্ঞানিক মতে তেজ পাতা একধরনের অ্যাণ্টি- ইনফ্যাল্মটারী। মৃগী রোগীদের জন্য খুবই উপকারি এই তেজপাতা।
মৃগী রোগীদের যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন তেজপাতা পুড়িয়ে সেই ধোঁয়া রোগীর নাকের সামনে ধরলে ধীরে ধীরে রোগী স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
তেজপাতায় একধরনের ঔষুধি গুন আছে যা মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে খুব সহজে আরাম প্রদান করে।
তাছাড়া তেজপাতা শরীরে ইন্সুলিন বানাতে ও তা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে। যা ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
প্রাচীনকালে গর্ভপাত করার জন্য তেজপাতাকে মহৌষধি মানা হত।
তাছাড়া পেটফোলা, গা বমি বমি ভাব হলে তেজপাতার পেস্ট বানিয়ে খেলে দ্রুত লাভ পাওয়া যায়।
তেজপাতা শরীরের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যারা খুব রোগা তারা নিয়মিত তেজপাতা ভেজানো জল যদি খান চেহারা কিছুটা হলেও ভালো হবে।
তেজপাতা টুকরো টুকরো করে গরমজলে এক রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে খান সপ্তাহে দুবার করে।
ত্বকের যত্ন নিতেও সহায়তা করে তেজপাতা। চন্দন ও তেজপাতা একসাথে বেটে ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রাখুন।
তারপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ দেখাবে।
গায়ে দুর্গন্ধ থাকলে সেটা দূর হয়ে যাবে।