ছোলা একটি উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
কাঁচা ছোলা সিদ্ধ বা ঝোল যেকোনো ভাবেই খেতে পারেন আপনি।
এতে বিদ্যমান ভিটামিন- বি বেরিবেরি রোগ, মস্তিষ্কের রোগ, হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতার বিরুদ্ধে কাজ করে।
এছাড়াও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, ছোলা খাওয়ার উপকারিতাগুলো
ডায়াবেটিসে উপকারী
১০০ গ্রাম ছোলায় আছে ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল।
ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।
তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল।
প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম।
এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয়।
যে সকল অল্পবয়সী নারী বেশি পরিমাণে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার খান, তাদের হাইপারটেনশনের প্রবণতা কমে যায়।
যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
ক্যান্সার রোধে
কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন, বেশি পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারেন।
এছাড়া ফলিক অ্যাসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে অ্যাজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়।
আর তাই নিয়মিত ছোলা খান এবং সুস্থ থাকুন।
মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করে
এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
ভিটামিন ‘বি’ কমায় মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়।