তুলসী পাতা উপকারী একথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু তুলসী পাতা খেলে কোনো উপকারগুলো পাওয়া যায় সেকথা অনেকেরই অজানা।
ওষুধ হিসেবে তুলসী পাতার ব্যবহার বেশ পুরোনো। এই পাতায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
এগুলো মারাত্মক সব রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যদির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।
এটি নানা গুণে অনন্য বলেই হাজার বছর ধরে যোগ আছে ওষুধের তালিকায়। জেনে নিন তুলসী পাতার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
গলা ব্যথা দূর করে
গলা ব্যথার সমস্যায় ভুগলে আস্থা রাখুন তুলসী পাতায়। কারণ এই সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতেও তুলসী পাতা বেশ উপকারী।
করোনা মহামারির এই সময়ে তাই নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
কয়েকটি তুলসী পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা দ্রুত সেরে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার এক মরণঘাতি অসুখের নাম। এই অসুখ দূরে রাখতেও সাহায্য করে তুলসী পাতা।
এই পাতায় আছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে।
এতে আরও আছে ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোসমারিনিক এসিড, মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন। এসব উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করতে কার্যকরী।
অগ্নাশয়ে যে টিউমার কোষ দেখা দেয় তা দূর করতেও তুলসী পাতা দারুণ উপকারী। পাশাপাশি দূরে রাখে ব্রেস্ট ক্যান্সারও।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে
তুলসী পাতা ইনসুলিন উৎপাদনের কাজ করে। প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসী পাতা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে।
তুলসী অ্যান্টি ডায়াবেটিক ওষুধের কাজ করে। তুলসীতে থাকা স্যাপোনিন, ত্রিতারপিনিন ও ফ্ল্যাবোনয়েড ডায়বেটিস রোধ করতে কার্যকরী।
নিম্ন রক্তচাপ
তুলসী পাতায় থাকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম। ফলে কমে যেতে পারে রক্তচাপ।
তাই কারও নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তুলসি পাতা না খাওয়াই ভালো।
এই ক্ষেত্রগুলোতে সতর্ক থাকলেই তুলসি পাতা খাওয়া নিরাপদ।
এর অনন্য সব উপকারিতার জন্য নিয়মিত খেতে পারেন।
সর্দি কাশি কমায়
এটি খুব পরিচিত চিত্র যে, ঠান্ডা লাগলে অর্থাৎ সর্দি-কাশি হলে তুলসী পাতা খাওয়া হয় ওষুধ হিসেবে।
সর্দি ও কাশি সারাতে এটি খুব দ্রুত কাজ করে।
কারও বুকে কফ বসে গেলে তাকে প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা, আদা ও চা পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে তাতে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে দিন। এতে দ্রুতই উপশম মিলবে।