বাতাসে এখন শুষ্কতার ছোঁয়া। যার আঁচড় পড়তে শুরু করেছে ত্বকে।
আর্দ্রতার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না ত্বক। এ সময় ত্বকের সুরক্ষায় দরকার একটু বাড়তি যত্ন।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে অনেকেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন।
কোমল, মোলায়েম ও দীপ্ত ত্বকের জন্য ভালো সমাধান হতে পারে ভালো ব্র্যান্ডের বডি লোশন।
কখন লোশন লাগাবেন
প্রয়োজন অনুযায়ী দিন কিংবা রাতের যেকোনো সময়েই লোশন ব্যবহার করা যায়।
অনেকেই মনে করেন ত্বক শুষ্ক কিংবা রুক্ষ হয়ে উঠলেই লোশন লাগানো উচিত।
আদৌ তা ঠিক নয়। বরং আর্দ্র ত্বকে লোশন ব্যবহারে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
গোসলের পর পরিষ্কার ত্বকে আর্দ্র অবস্থায় লোশন মেখে নিন।
সারা দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে লোশন মেখে নিন।
এতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষার কাজটি হয়ে যাবে।
লোশন কেন ব্যবহার করবেন
নিয়মিত লোশন ব্যবহার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
রুক্ষতার হাত থেকে সুরক্ষা পায় ত্বক।
আর্দ্রতা না থাকলে অনেকের হাত, পা ও শরীরের ত্বক খসখসে হয়ে যায়।
নিয়মিত লোশন ব্যবহার করলে আর এই ভয় নেই। এ ছাড়া ত্বকের সুরক্ষায় বর্ম হিসেবেও কাজ করে লোশন।
ত্বকে মাখার পর লোপকূপের মুখ ঢেকে দেয় লোশন।
এতে বাইরের ধুলা-ময়লা, ঘাম, লোপকূপ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে না।
কোন লোশন ব্যবহার করবেন
সুষম পুষ্টিমান ও শত ভাগ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ বডি লোশন লাগাতে হবে।
বাজারে নিম্নমানের কম দামি অনেক লোশন পাওয়া যায়।
নকলের ভিড়ে আসল ব্র্যান্ডের বডি লোশন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
ত্বকের সুরক্ষায় ভালো ব্র্যান্ডের বডি লোশন ব্যবহার করতে হবে।
আরো যা কিছু
শুধু লোশনের ওপর নির্ভর হয়ে থাকলেই চলবে না।
ত্বকের সুরক্ষায় সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে।
ত্বককে শুষ্কতা থেকে বাঁচাতে চাইলে প্রচুর পানি এবং তাজা শাকসবজি খেতে হবে।
এতেও যদি ত্বকে আর্দ্রতা না থাকে কিংবা খুব বেশি শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।