Search
Close this search box.

চুলের বৃদ্ধির জন্য শিয়া বীজ ব্যবহারের উপায়

শিয়া বীজ প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, ফাইবার এই সব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে সমৃদ্ধ।

অন্য অনেক গ্রেইনকে এই শিয়া বীজ নিউট্রিশানাল দিক থেকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

কিন্তু ডায়েট বা শারীরিক দিক ছাড়াও আমাদের চুলের যত্নের জন্যও আমরা এই শিয়া বীজ ব্যবহার করতে পারি।

এর প্যাক, মাস্ক, তেল সব কিছুই আমাদের চুল আরও সুন্দর আর মজবুত করতে সাহায্য করে।

ড্রাই স্ক্যাল্প কন্ডিশন করে

শিয়া বীজ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি স্ক্যাল্পের হাইড্রেশন ভাল করে।

একটি প্রটেক্টিউভ শিল্ডের মতো কাজ করে। এর তেল আমাদের স্ক্যাল্পের ড্রাইনেস দূর করে আর খুশকিও আসতে দেয় না।

হেয়ার গ্রোথে সাহায্য করে

যেহেতু শিয়া বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ, তাই এটি চুলের খুব ভাল বৃদ্ধি ঘটায়। আমরা জানি যে চুলের জন্য প্রোটিন কত উপকারী।

এর পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান চুল পড়া, স্ক্যাল্পের চুলকুনি এই সব দূর করে।

হেয়ার টেক্সচার ভাল করে

শিয়া বীজে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ফসফরাসের মতো উপাদান। এতে আছে বেশি মাত্রায় আয়রন, কপার, জিঙ্ক।

এই সব উপাদান আমাদের চুলের টেক্সচার ভাল করে। ডগা ফাটা, রুক্ষতা দূর করে একটি মোলায়েম ভাব আনে। চুলে আনে উজ্জ্বলতা।

১. শিয়া বীজ হেয়ার জেল

উপাদান

  • ৪ কাপ শিয়া বীজ
  • ১ কাপ জল
  • ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল
  • যে কোনও এশেনিশিয়াল অয়েল

পদ্ধতি

আগের দিন রাতে জলের মধ্যে শিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন এই জল ছেঁকে নিন। এবার একটি পাত্রে এই জল নিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন।

দশ মিনিট করলেই হবে। আপনি চাইলে ওই শিয়া বীজ অল্প বেটে এর মধ্যে দিয়ে দিতে পারেন।

এবার নামিয়ে নিয়ে আবার ভাল করে ছেঁকে নিয়ে এর মধ্যে মিশিয়ে নিন অ্যালোভেরা জেল।

সঙ্গে দিন অল্প এসেনশিয়াল অয়েল। ভাল করে মিশিয়ে নিন আর ঠাণ্ডা করে নিন। এবার এটি স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন আর ২০ মিনিট মতো রেখে দিন।

তারপর ভাল মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এটি সপ্তাহে দুই দিন করতে পারেন।

শিয়া বীজ যেমন আপনার স্ক্যাল্পে দেবে প্রোটিন আর জরুরি মিনারেল, অ্যালোভেরা তেমনই দেবে হাইড্রেশন।

২. শিয়া বীজ ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক

উপাদান

  • ৬ চামচ অর্গানিক কোকোনাট অয়েল
  • ২ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
  • অল্প মধু
  • ১ চামচ শিয়া বীজ

পদ্ধতি

একটি পাত্রে সব উপকরণ নিয়ে মিশিয়ে নিন। এক মিনিটের জন্য একটু হিট দিন যাতে নারকেল তেল ভাল করে মিশে যায়।

ভাল করে মিশিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এই মিক্সচার এবার ভাল করে স্ক্যাল্পে আর চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন।

এটি রুটিনের মতো নিয়ম করে ব্যবহার করুন। এই মিক্সচার ঠাণ্ডা কোনও জায়গায় রাখুন। অনেকদিন থাকবে।

নারকেল তেল কেরাটিন ক্ষয় বন্ধ করবে। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার চুলের পি.এইচ ভাল রাখে আর চুলে উজ্জ্বলতা আনে।

মধু স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার বজায় রেখে খুশকি দূর করে।

৩. শিয়া বীজ ড্যামেজ কন্ট্রোল হেয়ার মাস্ক

উপকরণ

  • ৪ টেবিল চামচ শিয়া বীজ
  • অ্যাপেল সিডার ভিনিগার হাফ কাপ

পদ্ধতি

৩০ মিনিটের জন্য শিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জল ছেঁকে নিন আর বীজ অন্য একটি পাত্রে রাখুন।

এই বীজের মধ্যে দিয়ে দিন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার আর ভাল করে মিশিয়ে নিন বীজ থেঁতো করে।

একটি ঘন থকথকে পেস্ট তৈরি হবে। এই পেস্ট চুলে আর স্ক্যাল্পে ভাল করে লাগিয়ে নিন আর রেখে দিন ৩০ মিনিট মতো।

তারপর শ্যাম্পু করে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক দিন করে করতে পারেন।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান।

এই ভিনিগার আর শিয়া বীজ একসঙ্গে চুল ময়েশাচারাইজ করে আর চুলের ফলিকল ধরে রাখে।

অনেক কিছুই তো ব্যবহার করলেন। এবার একবার এই শিয়া বীজ ব্যবহার করে দেখুন। খুব ভাল ফল পাবেন।