আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা রান্নাবান্না করতে মোটেই পছন্দ করেন না।
কিন্তু আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে রান্নাঘরে না ঢুকেও উপায় নেই।
যাঁদের নির্দিষ্ট একটা সময়ের মধ্যে ঘরের কাজকর্ম সেরে অফিসের কাজ শুরু করতে হচ্ছে, তাঁদের সমস্যা হচ্ছে বেশি।
কারণ তাড়াহুড়োয় রান্না সারতে গিয়ে প্রায়ই ছোটোখাটো অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে।
আমাদের টিপস মেনে চলুন, তাতে সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে আসবে।
প্ল্যানিং
প্রথমত, যেহেতু আপনি কাজটায় পোক্ত নন, তাই আগে থেকে প্ল্যানিং করে রাখুন পরদিন কী রাঁধবেন।
এমন মেনু ঠিক করুন যার উপাদান হাতের কাছেই আছে।
ফ্রোজেন মাছ বা সবজি আগে থেকে বের করে বরফমুক্ত করে নিন।
তারপর জল ঝরিয়ে তবেই গরম কড়ায় ছাড়বেন।
তা না হলে কিন্তু তা ফাটবে বেশি এবং ছিটকে এসে গায়ে ফোসকাও পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
ভাজার সময় সাবধান
তেলের কড়ায় মাছ, মাংস, সবজি যাই ছাড়ুন না কেন, খুব বেশি দূর থেকে ছাড়বেন না।
তাতে তেল ছিটকে পড়ে বিপদ বাড়াবে।
ফোড়নই বলুন বা রান্নার উপকরণ – ছাড়তে হবে কাছ থেকেই।
সম্ভব হলে লম্বা হাতলযুক্ত পাত্রে রান্না করুন, তা আপনার নিরাপত্তা বাড়াবে।
উপকরণ থাকুক কাছেই
রান্নার সব উপকরণ হাতের কাছে নিয়ে তবেই কাজ শুরু করুন।
মাকে হয়তো সবজি কাটতে কাটতেই রান্না করতে দেখেছেন – কিন্তু তিনি এক্সপার্ট।
আপনি তা নন, তাই অতিরিক্ত রিস্ক নেওয়ারও প্রয়োজন নেই।
কড়াইর তেল বেশি গরম হয়ে গেলে সবজি ছাড়তে গিয়ে হাতে ছিটকে লাগতে পারে।
ভাতের মাড় গালার সময় অন্য কোনওদিকে মন দেবেন না, হাতে পড়লে হাত জখম হতে পারে।
যদি মনে হয় একেবারেই ম্যানেজ করতে পারছেন না, তা হলে প্রেশার কুকারে সমান মাপের চাল আর জল চড়িয়ে রেঁধে নিন।
ফ্যান গালার প্রশ্নই থাকবে না।
যত্নে থাকুক হাতে
বাসন মাজার সাবান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
তাই খুব কম ক্ষারযুক্ত হালকা ডিশওয়াশার দিয়ে বাসন মাজুন।
খুব অসুবিধে হলে সে সময়ে গ্লাভস পরে নিতে পারেন।
বাসন মাজার পর হাত আর নখে অবশ্যই ক্রিম বা ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।
কখনও, কোনও পরিস্থিতিতেই স্যানিটাইজার হাতে লাগিয়ে রান্নাঘরে কোনও কাজ করতে ঢুকবেন না।
স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকে, তা দাহ্য।
আগুনের কাছাকাছি গেলে বিপদের আশঙ্কা রয়েই যায়।
গ্যাসটপ, কিচেন টেবিল মোছার সময়েও স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না।
গরম সাবানজলে কাপড় ডুবিয়ে মুছে নিন, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্বই থাকবে না!
বাড়ির ফ্রিজে যেন ঠান্ডা জল আর বরফ থাকে অবশ্যই।
কোথাও জ্বলে-পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিন।
পোড়াটা যেন ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে না পারে তা দেখবেন।
জ্বালা কমলে বরফ দিয়ে ঘষুন। তার পর সিলভার নাইট্রেট মলম লাগিয়ে নিন।
ফোসকা বড়ো হয়ে গেলে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।