Search
Close this search box.

ত্বক ফেটে যাচ্ছে? কী করবেন?

ত্বক ফাটা একটি প্রচলিত সমস্যা। অনেক সময় ত্বক ফাটার সমস্যা বা শুষ্ক ত্বক থেকে বলিরেখা তৈরি হয়।

উপাদান

১. একটি ডিমের কুসুম

২. জলপাইয়ের তেল

যেভাবে তৈরি করবেন

একটি ডিমের কুসুম ভালোভাবে ফেটে নিন। এই কুসুমটি শুষ্ক ত্বককে মসৃণ করতে কাজ করে। তবে এটি ব্যবহার করার পরে আমাদের অবশ্যই জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে হবে।

ডিমের কুসুম ব্যবহার করার পর ভালো করে ফেসওয়াস ব্যবহার দিয়ে ধুয়ে জলপাইয়ের তেল মেখে রেখে দেবেন। এতে ত্বক মসৃণ ও নরম হয়ে যাবে।

শীতকালে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব কমে যায় এবং এতে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে পড়ে, ত্বক ফেটে যায়। এ কারণে শীতকালে ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়।

ফাটা ত্বকের জন্য বেশ কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধান রয়েছে:

১. ত্বক ভালো করে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ত্বক শুকাবেন। ত্বক শুকিয়ে গেলে সেখানে ঘি কিংবা শর্ষের তেল মাখবেন।

২. সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ত্বকে দুধের সর মাখা। এটা ত্বকে মালিশ করতে হবে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়। ফাটা ঠোঁটেও আপনি রাতে এই ক্রিম মাখতে পারেন, এতে ঠোঁট নরম ও মসৃণ হবে।

৩. শীতের সময় ত্বকে সাবান যত কম মাখা যায়, তত ভালো। কারণ, এতে ত্বক আরো খসখসে হয়ে পড়ে। সাবানের পরিবর্তে ত্বকে ক্লিনজিং ক্রিম লাগিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। আর যদি একান্তই সাবান ব্যবহার করতে হয়, তাহলে গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করবেন। মুখ ধোয়া কিংবা গোসলের পরপরই ত্বক মুছে ত্বকে ভেজা ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার মাখবেন। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আপনি গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। যেটুকু গ্লিসারিন প্রয়োজন, তার সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণ পানি মিশিয়ে সারা শরীরে মাখবেন। যদি পানি না মিশিয়ে শুধু গ্লিসারিন মাখেন, তাহলে গ্লিসারিনের আঠায় ময়লা জমে ত্বক আরো বেশি ফেটে যেতে পারে।

৪. রাতে নিয়মিত শরীরে ক্রিম লাগানোর অভ্যাস করবেন। এতে ত্বকের শুষ্কতা রোধ হবে।

৫. শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য অলিভ অয়েল একটি চমৎকার দ্রব্য। শীতে নিয়মিত এটা ত্বকে মালিশ করুন।

৬. শীতে অনেকে গরম পানিতে গোসল করেন। তবে খুব গরম পানিতে নিয়মিত গোসল করলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে পড়ে। গরম পানিতে গোসল করতে চাইলে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন এবং গোসলের পরে শরীর মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার মাখুন।