Search
Close this search box.

প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে করনীয়

ব্যস্তময় এ জীবনে আমাদের নিজেদের জন্য সময় নেই বললেই চলে!

তবে ব্যস্ততা যত-ই থাকুক, তার মাঝেই নিজের যত্ন নেয়া আবশ্যক।

আর তা যদি হয় ত্বকের ক্ষেত্রে, পরিচর্চার বিষয়ে তাহলে নজর দেয়া আবশ্যক।

প্রতিদিনের ধুলাবালি আমাদের ত্বকে যেমন ব্রণ সৃষ্টি করে, তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা হ্রাসেও ভূমিকা রাখে।

তার পাশাপাশি রোদে পোড়া দাগসহ নানা সমস্যা তো আছেই।

তাই ঘরে বসে প্রতিদিন খুব অল্প কিছু হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন,

ক্লিনজিং

ক্লিনজিংয়ের বেলায় এক কাপ ছোলার ডাল, এক কাপ বেসন সঙ্গে হাফ কাপ চালের গুঁড়া,

এক চা চামচ কর্পূর আর হাফ কাপ কফি ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটি প্রতিদিন মুখে ব্যবহার করতে হবে।

এতে ত্বক যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি ত্বকে থাকা ময়লা দূর হবে খুব সহজে।

টোনিং

মুখের ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে ক্লিনজিংয়ের পরের ধাপ-ই টোনিং। অনেকেই এ টোনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনীহা দেখিয়ে থাকেন।

আর এ টোনার ব্যবহার না করার ফলে ত্বকে থাকা লোমকূপের মাঝে ধুলা-ময়লা ঢোকার আশঙ্কা রয়ে যায়।

সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে দু’কাপ গোলাপের পাপড়ি আর দু’কাপ পুদিনাপাতা আট কাপ পানিতে মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিয়ে চার কাপ হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে।

আর এ টোনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা করে কাচের বোতলে নরমাল ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যাবে দশ দিনের মতো।

এছাড়া ডিপ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে বরফ আকারেও ব্যবহার করা যাবে।

অন্যদিকে যাদের ত্বক সেনসিটিভ, তাদের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটির সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ,

পুদিনাপাতা অথবা দূর্বাঘাস মিশিয়ে মিশ্রণটি টোনার আকারে ব্যবহার করতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে ডিমের ব্যবহারের জন্য হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

আর যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বেসন ও হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে ভালো করে মুখে মাখিয়ে পনেরো মিনিটের মতো রেখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

অন্যদিকে যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের ক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ মুগ ডালের বেসন, দু’চামচ নিম পাতার রসের সঙ্গে দূর্বাঘাসের রস দুই চা চামচ মিশিয়ে জ্বাল করে নিয়ে তা মুখে মাখিয়ে শুকিয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করে পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।

ময়েশ্চারাইজার

ক্লিনজিং আর টোনার ব্যবহারের পরে মুখের ত্বকের ক্ষেত্রে সর্বশেষ ধাপটি হচ্ছে ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার।

এক্ষেত্রে দুই টেবিল চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে ৮ টেবিল চামচ গোলাপ জল, এক থেকে দশ ফোঁটা অলিভ ওয়েল অথবা নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে বোতলে রেখে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।