দাদ থেকে রক্ষা করুন আপনার পা

ভাবুন তো, পায়ে মোজা পরে দিব্যি তো সারাদিন কাটালেন।

ভাবলেন পা-কে কত যত্নেই না রেখেছেন।

কিন্তু জানেন কি, পায়ে মোজা পরে থাকলে আপনার পায়ে কিন্তু সারাদিন ঘামও জমে।

আর ঘাম মানেই তো একগাদা রোগ-জীবাণুর রাজত্ব।

ঘাম থেকে ভীষণ ক্ষতিকর যে সব রোগ হতে পারে এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ‘দাদ’।

দাদ কী?

দাদ (Tinea) ফাঙ্গাস সংক্রমিত একটি রোগ। এটি dermatophytes নামক ফাঙ্গাস থেকে হয় যা ত্বকে বিস্তার লাভ করে।

যারা খুব বেশী ঘামেন, তাঁদের ত্বকের এ ধরণের সংক্রামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী।

নারী-পুরুষ উভয়েরই এ রোগটি হয়। তবে পুরুষদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তাঁদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশী।

রোগের উপসর্গ

দাদ হলে ত্বকে গোল গোল ক্ষতের সৃষ্টি হয়।

এগুলো খুব চুলকোয়, তাই খুব ব্যথা করে।

দিন দিন গোল ক্ষতটি চারপাশে বিস্তার লাভ করে।

ক্ষত স্থান থেকে পানি বা পুঁজ বের হয় যখন খুব বেড়ে যায়।

এভাবে ত্বকের বিভিন্ন অংশে হাতের সংস্পর্শে ছড়িয়ে যায়।

ক্ষতস্থান থেকে খুশকির মতো চামড়া উঠতে থাকে।

ঘাড়, বগল, কোমর, নিতম্ব ইত্যাদি অংশগুলোতে বিশেষ করে ভাঁজযুক্ত অঙ্গগুলোতে দাদের সংক্রমণ বেশী হয়।

কারণ এই স্থানের ত্বক একটুতেই ঘামের সৃষ্টি করে। ফলে স্যাঁতসেঁতে ত্বকে দাদের সৃষ্টি হয়।

দাদ হওয়ার কারণ

অনেক মানুষ আছেন যারা বেশ আঁটোসাটো টাইট ফিট পোশাক পরেন।

নিয়মিত এমন আঁটোসাটো পোশাক পরা এবং ঘাম হওয়া যা দাদ (jock Itching) হওয়ার অন্যতম কারণ।

সময়মত চিকিৎসা না হলে দ্রুত ত্বকের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

কী করবেন? 

দাদের ক্ষতস্থান সবসময় শুকনো রাখতে হবে, ভেজা অবস্থায় এটা আরও বেড়ে যায়।

তেল, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি ক্ষত স্থানে না লাগানোই ভালো।

তবে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল সোপ ব্যবহার করুন।

সংক্রমিত স্থানটি যথাসম্ভব বাতাসের সংস্পর্শে রাখুন। পরিধেয় পোশাক প্রতিদিনই পরিষ্কার করবেন।

১. দাদের সমস্যায় ঘৃতকুমারীর জেল

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।

ত্বকের বাহ্যিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এর নির্যাস কার্যকরী।

ঘৃতকুমারীর শাঁসটুকু সংগ্রহ করুন।

ক্ষতস্থানে এর রসটুকুর প্রলেপ দিন।

নিয়মিত সপ্তাহ খানেক ব্যবহার করুন, দাদের সমস্যা সেরে যাবে।

২. দাদ দূর করবে কাঁচা হলুদ

কাঁচা হলুদ ত্বকের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সরবরাহ করে।

আমাদের আম্মাদের দেখেছি তাঁরা প্রায় সময়েই ত্বকের যত্নে হলুদ ব্যবহার করতেন।

কাঁচা হলুদ ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এর ব্যবহারে দাদের দাগ, চিহ্নসহ উধাও হতে বাধ্য।

৩. জায়ফল ব্যবহার করে দাদকে তাড়িয়ে দিন

দাদ সমস্যায় প্রধান আসামী রিং ওয়ার্ম।

রিং ওয়ার্মের আক্রমণে আপনার ত্বকে দাদ হয়।কিন্তু জায়ফল দাদকে তাড়িয়ে দিয়ে আপনার ঝামেলা দূর করার ক্ষমতা রাখে।

এতে থাকে অ্যান্টি-সেপ্টিক উপাদান যা ত্বকের অনেক সংক্রামক রোগকেই ধ্বংস করবে।

তাই এবার থেকে দাদ হলেও নো চিন্তা। ঘরে বসেই পা থেকে দাদের দাগ তাড়ান সহজে।