Search
Close this search box.

শুকনো ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় যেভাবে

ত্বকের পরিচর্যায় খান ড্রাই ফ্রুট। সুন্দর, মোলায়েম আর দাগহীন ত্বকই হলো সৌন্দর্যের আসল চাবিকাঠি।

অনেক যত্ন করে তবে এমন ত্বক পাওয়া যায়।

কিন্তু আমাদের অনেকেরই কোনও না কোনও ত্বকের সমস্যা হয়েই থাকে।

আমরা যে যত্ন নিই না তা কিন্তু নয়। তাও বাইরের দূষণ, রোদ এই সবের প্রভাব ত্বকের ক্ষতি করে। 

আর ত্বকের বারোটা বেজে যায়।

অনেক কিছু ব্যবহার করেও কিন্তু মনের মতো উপকার মেলে না।

কিন্তু আজকের আর্টিকেলে আপনাদের ত্বকের যত্নে এমন জিনিসের কথা বলব যা আপনার ত্বকের সমস্যায় অব্যর্থ কাজ দেবে।

আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ত্বকের যত্নে আপনারা ড্রাই ফ্রুট কীভাবে ব্যবহার করতে পারেন তার কিছু টিপস।

ড্রাই ফ্রুট খান

আজ আপনাদের আর এটার সঙ্গে ওটা মিশিয়ে মাখুন, এসব কিছু বলব না।

বরং আজ বলব খাওয়ার কথা।

দেখুন বাইরে থেকে যতই কিছু ব্যবহার করি না কেন, শরীর বা ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর করতে হলে আপনাকে খেতে হবে।

আজ তাই রইল ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফল খেলে কী কী উপকার পাবেন সেই প্রসঙ্গ।

কিশমিশ

পায়েস করলে তো কিশমিশ ছাড়া হয় না। আর অন্য অনেক সুস্বাদু খাবারেই পায়েস আমরা ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু আপনার ত্বকের যত্ন নিতেও এই কিশমিশ অসাধারণ কাজ দেয়।

কিশমিশ ভিটামিন এ র একটি উৎকৃষ্ট উৎস। তাই আপনার ত্বকের ভিটামিনের প্রয়োজন কিন্তু কিশমিশ মিটিয়ে দিতে পারবে।

আপনার ত্বকে আলাদা চমক আনবে।

কিশমিশে আছে রেসভেরাট্রোল নামক উপাদান।

এটি খুব তাড়াতাড়ি বার্ধক্য আসতে দেয় না।

এছাড়াও কিশমিশে আছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান।

এগুলো রক্তের জন্য খুব দরকারি।

তাই ড্রাই ফ্রুট খেলে আপনার কোষে কোষে রক্তের সঞ্চালন বাড়ে, অক্সিজেন প্রবাহ ভালো হয়।

ত্বক তাই স্বাস্থ্যকর থাকে।

কাজুবাদাম

একটি অত্যন্ত উপকারী আর খানিক দামী ড্রাই ফ্রুট।

এতে ফ্যাটের পরিমাণ খানিক বেশি বলে অনেকে ভাবেন এটি খাওয়া খারাপ।

কিন্তু নিয়মিত পরিমাণে খেলে এটি খুব উপকার দেয়।

কাজুবাদাম ট্যান কমাতে সাহায্য করে।

অনেক বিউটি প্রোডাক্টে কিন্তু কাজু বাদাম নানা ভাবে ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও কাজুবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই আছে।

ভিটামিন ই আপনার ত্বকে অ্যান্টি এজিং ক্ষমতা বাড়াবে।

সহজে বলিরেখা বা ত্বক কুঁচকে যাবে না। তাই কাজুবাদাম খান।

কাঠবাদাম

নামে কাঠ থাকলেও আপনার ত্বককে সবচেয়ে লাবণ্যময় করে তুলতে পারে এই কাঠবাদাম।

এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রচুর ফাইবার আর প্রোটিন।

এটি ব্রণকে সহজে প্রতিহত করে আর ব্রণর দাগও দূর করে দেয়।

আপনার ব্যবহার করা অধিকাংশ ক্রিমে থাকে বাদাম তেল।

এই বাদাম তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনবদ্য কাজ দেয়।

এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, রক্ত ভিতর থেকে পরিষ্কার করে।

আর রক্ত পরিষ্কার হলে ত্বক তো এমনিতেই সুন্দর থাকবে।

আর আপনি যদি কাঠবাদামের গুঁড়োর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে মুখে ঘষেন তাহলে মরা চামড়া উঠে ত্বক হবে ঝকঝকে।

আখরোট

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ড্রাই ফ্রুট যা ত্বকের জন্য খুব ভালো।

এতে আছে ওমেগা আর ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের টেক্সচার ভিতর থেকে উন্নত করে।

আখরোটের তেলে আছে লিনোলিক অ্যাসিড, যা সহজে বলিরেখা হতে দেয় না।

যেহেতু এতে ফ্যাট আছে, সেই ফ্যাট আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য খুবই দরকারি।

ফাইন লাইন হওয়ার থেকেও আখরোট ত্বককে রক্ষা করে।

মুখের মধ্যে একটা হাল্কা লালচে ভাব আনে যা আপনাকে আরও সুন্দর করে তোলে।

পেস্তা

দামটা একটু বেশি, কিন্তু খানিক খেলে উপকার পেয়ে টাকার কথা আপনি ভুলেই যাবেন।

এতে থাকা ভিটামিন ই আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকর ইউ.ভি রশ্মি থেকে বাঁচায়।

এছাড়া ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার মতো সমস্যার প্রবণতাও অনেক কম রাখে।

এই বাদামে পাওয়া যায় ক্যারোটিনয়েড, লুটেইন যা খুব কম বাদামেই পাওয়া যায়।

এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যা ডিকেল দূর করে।

পেস্তায় থাকা তেল ত্বককে ভিতর থেকে স্মুদ করে।

অকালবার্ধক্য আসতে দেয় না।

এবার থেকে তাহলে অন্য জিনিস মাখার সঙ্গে সঙ্গে খানিক ড্রাই ফ্রুট খেয়ে দেখুন

এতে ত্বকের যেমন ভালো হবে, তেমনই আপনার শরীর ভিতর থেকেও খুব স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।