Search
Close this search box.

ন্যুড মেকআপ করার সহজ স্টেপ

এতদিনে নিশ্চয়ই সবাই জেনে গেছেন যে এখন দাপটে রাজত্ব করে চলেছে ন্যুড মেকআপ!

যে কোনও বড় বিউটি শপে ফাউন্ডেশনের তাকগুলোয় চোখ বোলালেই নানা শেডের অসংখ্য ছোটবড়ো বোতল দেখতে পাবেন।

একদম হালকা গোলাপি আভাযুক্ত শ্বেতপাথরের মতো শেড থেকে শুরু করে গাঢ় বাদামিরঙা বা সোনালি মধুর উষ্ণতা মাখা শেড, সবই রয়েছে সেখানে।

এর মধ্যে থেকেই আপনাকে খুঁজে নিতে হবে সেই শেডটি যা নিখুঁতভাবে মিশে যাবে আপনার ত্বকের সঙ্গে।

কীভাবে বুঝবেন কোন শেডটি আপনার ত্বকে সবচেয়ে মানানসই? হদিশ খুঁজে নিন কয়েকটি ধাপে!

নিজের ত্বকের আন্ডারটোন চিনুন

গালের উপরের নরম অংশ আর দুই ভুরু মাঝের অংশের ত্বক খুব ভালো করে খেয়াল করুন।

যদি সামান্য নীলচে আভা লক্ষ করেন, তা হলে আপনার ত্বকের আন্ডারটোন শীতল বা কুল।

কিন্তু যদি সোনালি বা হলদেটে বলে মনে হয়, তা হলে বুঝতে হবে ওয়ার্ম আন্ডারটোন।

অন্যদিকে যদি মনে হয় একটু সবুজের ছোঁয়া রয়েছে, তা হলে আপনার ত্বকের আন্ডারটোন অলিভ বা নিউট্রাল।

সঠিক ফর্মুলার আর সঠিক শেডের ন্যুড কিনতে হলে ত্বকের আন্ডারটোন চেনা দরকার।

ময়েশ্চারাইজার

মুখ পরিষ্কার করার পর অবশ্যই কিন্তু মুখকে ময়েশ্চারাইজড করা খুব দরকার।

না হলে স্কিন শুকিয়ে, সেই রেডিয়েন্ট লুকটাই কিন্তু আসে না।

আর ময়েশ্চারাইজার লাগানো মানে মেকআপের বেস তৈরি করা, যাতে মেকআপটা বসতে পারে।

আর অনেকক্ষণ থাকে।

যে কোনো মেকআপের শুরুতেই কিন্তু এই দুটি স্টেপ গুরুত্বপূর্ণ।

তাই পারফেক্ট মেকআপ লুক পেতে, এই স্টেপগুলো কিন্তু মেনে চলতেই হবে।

সঠিক শেড বেছে নেওয়ার উপায়

আপেল বা পেয়ারা কেটে কিছুক্ষণ রেখে দিলে যেমন অক্সিডাইজ়েশনের প্রভাবে উপরটা কালো হয়ে যায়, তেমনি আপনার ফাউন্ডেশনও অক্সিডাইজ়ড হয়ে যেতে পারে।

ত্বকের তেলের সংস্পর্শে এলে ফাউন্ডেশনের রং আরও গাঢ় হয়ে যায়।

আপনার মেকআপও যদি কিছুক্ষণ পর কালচে হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়, তা হলে এক শেড হালকা ফাউন্ডেশন পরুন।

কনসিলার লাগাতে ভুলবেন না

ত্বকের স্বাভাবিক রঙের চেয়ে একটু হালকা শেডের কনসিলার দিয়ে দাগছোপ ঢেকে দিন।

দাগের ঠিক উপরে কনসিলার লাগিয়ে ব্লেন্ড করে ফিনিশিং পাউডার দিয়ে সেট করে দিন।