সর্দি-কাশি, জ্বর মানেই করোনা সংক্রমণ নয়।
ঋতু পরিবর্তনের সময় এই উপসর্গগুলো অনেকেরই দেখা দেয়।
কাজেই ভয় না পেয়ে, আগেভাগেই কড়া কড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে সহজ ঘরোয়া উপায়ে মোকাবেলা করুন।
রসুন
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া কাঁচা রসুন আর কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে, রক্ত সঞ্চালনক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
আদা
একটি আদার টুকরাকে ছোট ছোট করে কেটে লবণ মিশিয়ে নিন।
এই লবণ মেশানো আদা মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ চিবান। সর্দি-কাশিতে আরাম পাবেন!
আদা, তুলসী পাতা থেঁতো করে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
এ ছাড়া হলুদ মেশানো গরম দুধ সর্দি-কাশি, জমা কফের সমস্যা দূর করে।
হলুদ চা
এটি হলুদ, মধু ও লেবু দিয়ে প্রস্তুত করা হয়।
হলুদে কারকিউমিন নামের একটি যৌগ রয়েছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি যৌগ শরীরের ব্যথা উপশমেও সহায়তা করতে পারে।
এই পানীয় তৈরি করতে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিয়ে হলুদ সিদ্ধ করতে হবে।
এরপর স্বাদমতো লেবু ও মধু দিয়ে গরম পরিবেশন করতে হবে।
লেবুর রস ও মধু
এই মিশ্রণ তৈরি করতে হবে চার কাপ পানিতে আদা, এক ইঞ্চি সমান দারচিনি, তিনটি রসুনের কোয়া, এক চা চামচ পুদিনার রস এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে।
এরপর মধু দিয়ে গরম অবস্থায় পান করতে হবে।
এই পানীয় গলা ব্যথা ও কাশির কষ্টে উপশম দেবে। গলায় অতিরিক্ত শ্লেষ্মা জমতে দেবে না।
মসলা চা
এই ইমিউনিটি বুস্টারটির উপাদানগুলো রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায়।
যেমন—আদা, দারচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচি, তুলসী পাতা মধু সহযোগে পরিমাণমতো পানিতে ৩০ মিনিট ধরে ফোটাতে হবে।
এই পানীয়ে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে দ্বিগুণ করে তোলে।