চুলে বিভিন্ন স্টাইল করতে আমরা সবাই ভালোবাসি। কিন্ত আমরা প্রায়ই চুলের ঠিক মতো যত্ন নিতে ভুলে যাই।
চুলে তেল দেয়া, শ্যাম্পু করা যেমন জরুরি আবার কিছুদিন পর পর চুল কাটাও কিন্তু প্রয়োজন।
তাহলে আজ আমরা ঠিক এই বিষয়েই একটু আলোচনা করবো।
চুলের যত্ন
বিভিন্ন ধরণের মহিলাদের চুল নিয়ে বিভিন্ন পছন্দ থাকে যেমন কারোর লম্বা চুল পছন্দ আবার কেউ বা আবার ছোট করে কাটা চুল পছন্দ করে।
চুল লম্বা হোক কি ছোট আমাদের শুধু খেয়াল রাখা উচিত যে আমাদের চুল স্বাস্থ্যকর থাকছে কিনা।
অনেকে লম্বা চুল কেটে ছোট করে ফেলে কারণ লম্বা চুলের পরিচর্যা করা একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের চুলের সামগ্রী, ব্লো ড্রাইয়ার, বাজে ধরনের শ্যাম্পু ইত্যাদিও আমাদের চুলের ক্ষতি করে দেয়।
তাই লম্বা চুলকে স্বাস্থ্যকর বানাতে আমাদের উচিত মাঝে মাঝে চুল কাটা।
চুলে ট্রিম করা উচিত
বলা হয় যে প্রতি মাসে আমাদের চুল আধ ইঞ্চির মতো বেড়ে যায়। আমাদের চুল এক ইঞ্চি বাড়লে আমাদের চুলে ট্রিম করা উচিত।
তাই মোটামুটি ২ মাস পর পর চুল কাটা দরকার। আমাদের চুলের নিচের অংশে সবচেয় বেশি চাপ পড়ে।
তাই চুলের নিচের অংশ কিছু দিন পরে পর কাটলে আমাদের চুলও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
চুল মজবুত হয়
অনেক সময়ে চুলের পুষ্টির অভাবে আমাদের চুলের ডগা ভেঙে যায়। এর ফলে আমাদের চুল তার উজ্জ্বলতা এবং জৌলুস হারায়।
চুলের ডগা ফেটে গেলে আমাদের চুল রুক্ষ দেখায় এবং চুলে কোনো স্টাইল করলেও আমাদের চুল ভালো দেখায় না।
এই চুলের ডগা ভেঙে যাওয়ার উপায় রোধ করতে হলে আমাদের মাঝে মাঝে চুল কাটা অত্যন্তই আবশ্যক।
কিছুদিন পর পর চুল কাটলে আমাদের চুলের ফেটে যাওয়া ডগা দূর হয় এবং আমাদের চুল আবার মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
চুলের ডগার আধ ইঞ্চি থেকে ১ ইঞ্চি কাট যথেষ্ট
২ মাস পর পর চুল কাটা উপকারী কিন্তু তাই বলে বেশি চুল কাটার কোনো প্রয়োজন নেই।
শুধু মাত্র চুলের ডগার আধ ইঞ্চি থেকে ১ ইঞ্চি কাটলেই সেটা যথেষ্ট।পার্লারে না গিয়ে বাড়িতে বসেও ট্রিম করা যায়।
চুল ট্রিম করার জন্য চিরুনি এবং চুলের ব্রাশ দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। তারপর চুলকে অনেক ছোট ছোট ভাগে ভাগ করতে হবে।
তারপর শুধু মাত্র একটি ছোট ভাগ হাতে নিয়ে তারপর কাঁচি দিয়ে চুলের ১ ইঞ্চির মতো অংশ কেটে ফেলতে হবে।
কাটার আগে ছোট অংশের চুলটি একটু পেঁচিয়ে নিয়ে আলোর সামনে মোরালে চুলের ফেটে যাওয়া ডগা দেখা যায়।
ট্রিম করলে ঠিক এই ফেটে যাওয়া অংশই দূর হয়। এইভাবে খুব সহজেই বাড়িতে বসে আমরা চুল ট্রিম করতে পারি।
অন্য কয়েকটি বিষয়
চুল কাটার সাথে সাথেও আরো কয়েকটি পদ্ধতি আছে যা আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। চলুন এবার সেই ব্যাপারে আমরা একটু আলোকপাত করবো।
চুলে শ্যাম্পু করতে হবে সপ্তাহে ৩ বারের মতো। শ্যাম্পু করলে আমাদের মাথার তালু পরিষ্কার হয়ে ওঠে এবং চুল আরো উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার বা ময়শ্চারাইজার দেওয়াও খুব উপকারি।
চুলে যতটা পারা যায় ক্ষতিকারক কেমিক্যাল না ব্যাবহার করা উচিত।
চুলে বিভন্ন স্টাইল করার জন্য আমরা প্রায়শই বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল ব্যাবহার করে থাকি।
এইসব কেমিক্যাল আমাদের চুলের প্রচন্ড ভাবে ক্ষতি করে আর এই ক্ষতির থেকে বাঁচার এক উপায় হলো নিয়মিত চুল কাটা।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভাব। চুলের পুষ্টির জন্য কিন্তু আমাদের পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরি।
নিয়মিত চুল কাটা আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই জরুরী এবং দরকারি।
আমাদের চুলের পুরোনো উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়ার জন্য নিয়মিত চুল কাটা দরকার।
তাই ভালো চুল পেতে হলে চুলে তেল দেওয়া এবং বাকি চুলের পরিচর্যার সাথে ২ মাস পর পর চুল কাটা অতি জরুরি।