সবচাইতে কমন সমস্যাগুলোর একটি হচ্ছে চুল পড়ে যাওয়া। নানা কারণে শুরু হয় এই সমস্যা।
ত্বকের সাথে চুলও রুক্ষ-শুষ্ক এবং গোড়া আলগা হয়ে গিয়ে ঝরে পড়ে।
চুল কেন পড়ে?
এগুলি কিন্তু সব ঘটে শরীরে পুষ্টির অভাবে।
আপনি যতই এই সময় হেয়ার প্যাক, হেয়ার কাট বা হেয়ার স্পা করান, আপনার শরীর যদি পৌষ্টিক আহার ঠিকমতো না পায়, তাহলেই কিন্তু এই মরশুমে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
তাই একটু সময় নিয়ে জেনে নিন চুল পড়া আটকানোর জন্য কী ধরনের পুষ্টিকর আহার দরকার।
চুলের জন্য চাই বিশেষ দেখভাল
আমাদের শরীরের বিশেষ দেখভালের প্রয়োজন হয়। তা না হলেই কিন্তু নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।
রইলো বিশেষ কিছু খাবারের সন্ধান, যা আপনারা একটু বেশি পরিমাণে খাবেন।
আর তাহলেই চুল পড়ার সমস্যা কিন্তু একেবারেই আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নেবে না।
ডিম, দুধ, দই
প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্টে একটি করে ডিম, এক গ্লাস করে দুধ খেয়ে ফেলুন।
আর দুপুরে খাওয়ার পর এক বাটি দই। এই তিনটি উপাদান কিন্তু চুল পড়াকে কম তো করবেই, তার সাথে নতুন চুলও গজাতে সাহায্য করবে।
এই তিনটি খাবারই বায়োটিন দ্বারা পরিপূর্ণ যা লড়াই করে চুল পড়া কম করতে।
এছাড়া এতে ভিটামিন, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি তো আছেই। সুতরাং ডিম, দুধ এবং দই কিন্তু মাস্ট।
পালং শাক
খুব করে পালক পনীর, পালক চিকেন, পালং শাকের সুপ, সবজি দিয়ে পালং শাকের ঝোল খান।
এই শাক আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। আমাদের দেহে কিন্তু আয়রনের অভাবে চুল পড়ার সমস্যা হয়।
এছাড়া এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও সেবাম বর্তমান, যা আমাদের চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
তাই চুল রুক্ষ হয় না এবং চুল পড়াও বন্ধ হয়।
মিষ্টি আলু ও গাজর
এই সবজি দুটি বাজার থেকে আনতে ভুলবেন না। কারণ চুল পড়া কম করতে হলে কিন্তু এই দু’টিই খুব জরুরি|
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে, যার অভাবে কিন্তু আমাদের স্ক্যাল্প ড্রাই হয়ে গিয়ে চুল পড়ার কারণ হয়ে ওঠে।
মিষ্টি আলুতে ভরপুর পরিমানে বিটা-ক্যারোটিন থাকে যা চুলকে মজবুত করার জন্য একেবারে অপরিহার্য।
তাই প্রচুর পরিমাণে গাজর ও মিষ্টি আলু খান আপনার প্রিয় চুলের আয়ু বাড়াতে।
কমলালেবু
নিশ্চয়ই আপনি কমলালেবু খান। আর যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু খুব সমস্যা।
কারণ ভিটামিন সি-এর অভাবে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা হয়। বিশেষ করে চুল রুক্ষ, ডগা ফাটা এবং চুলের গোড়া আলগা হয়ে গিয়ে চুল পড়া খুব বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়।
আর কমলালেবু হলো ভিটামিন সি-এর ভান্ডার। তাই চিবিয়েই হোক বা জুস করেই হোক চুল পড়া আটকাতে কমলালেবু আপনাকে খেতেই হবে।
ওটস
এই খাদ্যটি কিন্তু বর্তমানে খুব জনপ্রিয়, তার কারণ অবশ্যই এর উপকারিতা।
সকালের ব্রেকফাস্ট হিসেবে দই ও মধু সহযোগে এই ওটস খেতেই পারেন।
এতে ফাইবার, আয়রন, জিঙ্ক ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বর্তমান, যা আপনার চুলের গোড়া মজবুত করে, চুলের ব্রেকেজ সারিয়ে তোলে।
ফলে চুল পড়া কমে যায় সুতরাং বুঝতেই পারছেন ওটস আপনার চুলের লম্বা আয়ুর জন্য কত জরুরি।
এই সব খাবার তো খেতেই হবে, তার সাথে প্রচুর পানি, সিজনাল ফল, খেজুর, আখরোট, চিকেন, সবুজ শাক-সবজি, ডাল ইত্যাদিও বেশী করে খেতে হবে।
এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব ঘটবে এবং তার ফলে আপনার চুলেরও স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটবে। ফলে চুল পড়া থেকে আপনি মুক্তি পাবেন সহজেই।