শরীরের আর পাঁচটা অঙ্গের মধ্যে চুলও পড়ে।
কিন্তু মুশকিল হচ্ছে চুল সুস্থ আছে কিনা সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুব একটা স্পষ্ট নয়।
তাই চুল পড়তে আরম্ভ করলেই আমরা আঁতকে উঠি অধিকাংশ সময়েই।
কিন্তু আর পাঁচটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে চুল পড়ার খুব একটা পার্থক্য নেই।
বোঝার চেষ্টা করুন ঠিক কোন কারণে আপনার চুল পড়ছে, তারপর তা সারানোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না হয়!
আপনার চুল কয়েক বছর টানা বাড়ে, তারপর বৃদ্ধি থেমে যায় ও চুল বিশ্রাম নেয়।
তারপর পড়ে যায়। ফের নতুন চুল গজায়। প্রতিদিন শ’খানেক চুল পড়লে চিন্তা করার কিছু নেই, সেটা স্বাভাবিক।
চুল আঁচড়ানোর সময়ে পড়তে পারে, স্নান বা মাথা মোছার সময়ে পড়ে।
রাতের বেলা বালিশেও আলগা চুল লেগে থাকতে পারে। তাতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
অতিরিক্ত চুল পড়ার পিছনে প্রধান যে কারণটা থাকে, তা হচ্ছে শক।
ধরুন আপনি খুব অসুস্থ ছিলেন, দীর্ঘদিন শরীর লড়াই করেছে কোনও জীবাণুর সঙ্গে।
অথবা বিশেষ কোনও কারণে অনেকদিন ঠিকমতো খাওয়া-ঘুম হয়নি।
এই পর্বে তেমন বিব্রত না করলেও শরীর সেরে ওঠা বা পুরোনো স্বাভাবিক রুটিনে ফেরার পর দেখবেন চুল পড়ার হার বেড়েছে।
মাস দুয়েক পরেও মুঠো মুঠো চুল ওঠাটা অস্বাভাবিক নয় এবং এতে ভয় পাওয়ারও কিছু নেই।
অসুস্থ অবস্থার চুল স্বাভাবিক নিয়মেই পড়ে যাচ্ছে, আবার তা ফিরে গজাবে। টেনশন করবেন না।
কোনও অপারেশন, সন্তানের জন্ম, মারাত্মক স্ট্রেস বা ডিপ্রেশনের কারণেও এমনটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কোনও কোনও ট্রিটমেন্ট বা ওষুধের সাইড এফেক্টেও এমনটা হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক।
কিন্তু সব কালো মেঘের অন্তরালেই তো রুপোলি রেখা থাকে – তেমনটা এখানেও আছে।
পিছন থেকে নতুন গজিয়ে ওঠা চুল ঠেলা মারতে আরম্ভ করলেই একমাত্র পুরোনো চুল পড়ে যায়।
তাই চুল পড়তে দেখলে এবার থেকে আর ভয় পাবেন না, কেমন? বরং কয়েকটি দিন অপেক্ষা করুন নতুন চুলের জন্য।
আর অতি অবশ্যই সুষম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যেসটাও তৈরি করে নিন।
তাহলে আর অসুখ-বিসুখ বা চুল পড়া, কোনওটাই আপনাকে বিব্রত করতে পারবে না।