চুল লম্বা করতে চাইছেন? কিন্তু রাতারাতি তো তা বাড়বে না। ধৈর্য ধরতেই হবে, আর সেই সঙ্গে সঠিক যত্নও নিতে হবে।
চুলের আগা ফেটে গেলে তা কেটে ফেলতে হয়। কারণ, আগা ফাটা থাকলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে না।
আবার চুল ঝরতে থাকলেও তার বৃদ্ধি হয় না।তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুলের যত্ন নিতে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে।
তবেই চুল সুস্থ থাকবে, আর লম্বা হবে।
স্ক্যাল্পে বাড়তি ময়লা জমতে দেয়া যাবে না
তা হলে চুল পড়বে বেশি।
অন্য সময়ে যদি যত্ন না-ও করে থাকেন, তা হলে আজ থেকেই শুরু করুন।
তা না হলে কিন্তু চুলের স্বাস্থ্য উত্তরোত্তর খারাপ হতে থাকবে।
ত্বক বা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পিছনে আপনার সামগ্রিক জীবনচর্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
যারা জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকেন, প্রচুর জল খান, খাদ্যতালিকায় মাছ, ডিম, ফলমূল, শাকসবজি থাকে-
তাদের ত্বক আর চুল দুই-ই ভালো থাকে।
সেই সঙ্গে এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন যা আপনার চুলের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই।
চুলে নিয়মিত তেল লাগানো দরকার। সপ্তাহে অন্তত দু’বার শ্যাম্পু দিতেই হবে।
তার পর কন্ডিশনার লাগানো আবশ্যক।
কন্ডিশনার শেষ হয়ে গিয়েছে?
হাতে দু’–তিন ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর লাগিয়ে নিন।
শুকিয়ে গেলে দেখবেন প্রায় একই এফেক্ট আসছে, জট পড়বে না।
সেই সঙ্গে ব্যায়াম করুন।
স্বাস্থ্য ভালো থাকলে চুলও ভালো থাকবে।
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না – তাতে বেশি চুল ভাঙে
শুকনো চুল সাবধানে আঁচড়ান, জট ছাড়ান আরও সাবধানে।
জট পড়ছে মানে কিন্তু আপনার চুলের কোমল-মসৃণতা বজায় থাকছে না।
তেল লাগান, দই-মধু, অ্যালো ভেরা-মধু বা নারকেল তেল-ডিম আর লেবুর রসের মিশ্রণে তৈরি প্যাক চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।
এর মধ্যে কোনটি আপনার চুলের জন্য সেরা সেটা বুঝে নিতে হবে।
যেটি ব্যবহারের পর চুল সবচেয়ে মসৃণ থাকবে, সেটির উপর আস্থা রাখুন।
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে বেশিদিন।
ডাল, ডিম, সোয়াবিন, মাছ ইত্যাদি খান নিয়ম করে।
আয়রন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ, তার অভাবে গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়বে।
তাই শাক খাওয়া দরকার, ভালো হয় খেজুর খেতে পারলেও।
লেবু জাতীয় ফল খান রোজ, তা থেকে পাবেন ভিটামিন সি।
লাল চালের ভাত, ভুষিসুদ্ধ আটার রুটি থেকে মিলবে বায়োটিন।
সেই সঙ্গে জরুরি মোটা দাঁড়ার কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো।
তাতে জটমুক্ত হবে চুল, স্বাস্থ্যের আভায় ঝলমল করবে।