প্রতিদিনের ধুলোবালি আর ঘামের কারণে চুল খুব সহজেই ময়লা হয়ে যায়, এমন অবস্থায় শ্যাম্পু না করলেই নয়।
কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন শ্যাম্পু আপনার চুলের ক্ষতি করছে?
বাজারে যেসব শ্যাম্পু পাওয়া যায়, তার মধ্যে থাকে নানা ধরণের রাসায়নিক উপাদান, যা চুল পরিষ্কার করলেও চুলের প্রাকৃতিক গুণাগুণ নষ্ট করে নানাভাবে।
কেমন হয় যদি শ্যাম্পু ছাড়াই চুল পরিষ্কার করা যায়?
আজ থাকছে এমন কিছু টিপস, যার সাহায্যে ঘরোয়া উপাদান দিয়েই চুল পরিষ্কার করা যাবে।
শসা-লেবুর জুটি
১ টি শসা ও খোসাসহ ২ টি লেবু টুকরো করে ব্লেন্ডারে নিন, এক কাপ পরিমাণ পানিতে ব্লেন্ড করুন।
এবার মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর চুল ধুয়ে খানিকটা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগান, এটি চুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে।
ডিমের শ্যাম্পু
২ টি ডিম, ১ কাপ টকদই ও ৩ টি লেবুর রস নিন, এবার সবকিছু ভাল করে মেশান।
মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন।
এবারও কন্ডিশনার হিসেবে লাগিয়ে নিন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার।
বেকিং সোডা
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে পরিমাণমত কুসুম গরম পানি মিশিয়ে তা একটি বোতলে ভরুন, এবার বোতলটি ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।
মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন, এরপর অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগাতে ভুলবেন না যেন!
রিঠা-শিকাকাইয়ের হারবাল শ্যাম্পু
বলা চলে এটি আমাদের উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরনো শ্যাম্পু তৈরির পদ্ধতি।
যখন বোতলজাত শ্যাম্পুর প্রচলন ছিল না, তখন কিন্তু চুল ধোয়ার জন্য এই উপাদানগুলোই ব্যবহার করতেন নারীরা।
৫-৭ টি রিঠা ফলের সাথে ১ চা চামচ আমলকী গুঁড়া ও ১ টেবিল চামচ শিকাকাই গুঁড়া নিয়ে পানিতে মিশিয়ে রেখে দিন সারারাত।
সকালে মিশ্রণটি শ্যাম্পুর মত ব্যবহার করুন।
আর যদি আপনার হাতে সময় কম থাকে, তাহলে উপাদানগুলো একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন।
পানিতে বলক উঠলে চুলার জ্বাল কমিয়ে পাত্রটি ঢেকে এভাবে রেখে দিন ১৫ থেকে ৪৫ মিনিট।
মনে রাখবেন এভাবে যত বেশি সময় রাখবেন শ্যাম্পুর ঘনত্ব ও কার্যকারিতা ততই বেশি হবে।
এরপর চুলা থেকে নামিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে তা ব্যবহার করুন।