নিয়ম অনুসরণ করলেই হবে না বরং সুস্থ থাকতে সৃষ্টিছাড়া কিছু কাজও করতে হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর কিছু নিয়মও সুস্থ থাকতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
ক্লান্ত থাকলে ‘এনার্জি ড্রিংক’ নয়
শক্তিবর্ধক পানীয়তে কফির তুলনায় পাঁচগুন বেশি ক্যাফেইন থাকে।
এটা শক্তি বাড়ায় ঠিকই। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে স্নায়ুবিক দুর্বলতা,অস্বস্তি ও হৃদযন্ত্রের গতি দ্রুত করে।
এছাড়াও, শক্তিবর্ধক পানীয়তে উচ্চমাত্রায় ‘টোরিন’ থাকে যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। প্রতি ক্যানে ৫০ গ্রামের বেশি চিনি থাকে যা প্রায় ১৩ চামচের সমান।
এর মিষ্টিভাব রক্তে শর্করার মাত্রা ক্ষণিকের জন্য বাড়িয়ে দেয় এবং আরও কোমল পানীয় গ্রহণের দিকে ঝোঁক সৃষ্টি করে।
হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় পুদিনার চা
ভেষজ চা নানা রকমের স্বাস্থ্যগুণ সমৃদ্ধ এবং পুদিনার চা হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় ভালো কাজ করে।
যে নারীরা হরমোনের কারণে মুখে লোম ও ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটা বেশ কার্যকর।
অ্যান্টি-অ্যান্ড্রোজেন উপাদানের কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা রক্ষায় পুদিনার চা উপকারী।
পুরুষ হরমোনের কারণে অনেক নারী লোমের সমস্যায় ভোগেন। এই ধরনের সমস্যা মৃদু হলে তারা দিনে দুকাপ পুদিনার চা পান করতে পারেন।
যা পুরুষ হরমোনের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে।
ঘুম প্রয়োজন হলে কফি পান
কফি পান করে ঘুমায় এমন মানুষের ওপর জাপানিরা এক জরিপ চালায়। দেখা গেছে কফি ভালো ঘুমের জন্য কার্যকর। ২০০ মি.গ্রা. কফি গ্রহণ করে ২০ মিনিট ভালো ঘুম বা বিশ্রাম নেওয়া যায়। কফি তো ঘুম বা ক্লান্তি দূর করতেই পান করা হয়।
বিষয় হল কফি পান করার ফলে ক্যাফেইন মস্তিষ্কের সতর্কতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর ‘অ্যাডেনোসিন’ অণু দূর করে।
অর্থাৎ যখন ‘অ্যাডেনোসিন’ মাত্রায় বৃদ্ধি পায় তখন ক্লান্তিভাব দেখা দেয়।
ফলে অল্প ঘুম বা ‘ন্যাপ’ নিলে ‘অ্যাডেনোসিন’ অণুর মাত্রা কমে।
আর কফি এর বৃদ্ধির কার্যকারিতা কমায়, এর ফলে ঘুম ভালো হয়।
ক্ষত জীবাণুমুক্ত করতে মধু
ব্যান্ডেজ করার আগে ক্ষতস্থানে মধু মেখে নিন। এর শক্তিশালী ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান ক্ষত শুকাতে ও জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে।
মধু ক্ষত সারাতে যেভাবে ভূমিকা রাখে সেগুলো হল। অম্লীয় ‘পিএইচ’ আরোগ্য লাভে সাহায্য করে।
মধু ৩.২ থেকে ৪.৫ অম্লীয় পিএইচ সমৃদ্ধ। এটা রক্তে থাকা অক্সিজেন মুক্ত করতে সাহয্য করে দ্রুত ক্ষত সারায়।
খাওয়ার পরেই দাঁত ব্রাশ না করা
দাঁত ভালো রাখতে খাবার বা পানীয় পানের পরপরই বিশেষত, ‘অ্যাসিটিক’ খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না।
অম্লীয় খাবার যেমন: টক-ফল, স্পোর্টস পানীয়, টমেটো ও সোডা দাঁতের এনামেল দুর্বল করে।
খাওয়ার পরেই ব্রাশ করলে অ্যাসিডের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং দুর্বল এনামেলের ওপর প্রভাব রাখে। কমপক্ষে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করে ব্রাশ করা উচিত।
অ্যাসিডিক খাবার খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করলে এনামেল উঠে গিয়ে দাঁত দুর্বল করে দিতে পারে।