আর কিছু ব্যবহার হোক বা না হোক, ঠোঁটে লিপস্টিক দেয়া অনেকেরই ডেইলি রুটিনের মধ্যেই পড়ে। এবং সেটা হওয়া চাই পারফেক্ট।
তবে সমস্যা তো একটা না একটা থাকবেই। যেমন ধরুন লিপস্টিক লাগিয়ে বেরনোর কিছুক্ষণের মধ্যে তা ফিকে হতে শুরু করে দেবে। তাই বলে কি লিপস্টিক লাগাবেন না?
এমনটা তো চলে না! লিপস্টিকও লাগাবেন, আবার পেট ভরেও খাবেন। কিন্তু লিপস্টিক উঠবে না একটুও।
অবাক হলেন? আরে চাপ নেবেন না! উপায় আছে সহজ কয়েকটা সামান্য বেসিক মেকাপের নিয়ম মেনে।
লিপস্টিক লাগালে তা নতুনের মতই দেখাবে ঘন্টার পর ঘন্টা।
আপনি ফুচকা খান বা বিরিয়ানি। ঠোঁটে স্বাদের সাথে আপনার পছন্দের রঙও লেগে থাকবে।
সহজ নিয়ম মেনে লিপস্টিক লাগান
কী কী করবেন লিপস্টিক লাগানোর আগে সেটা বলছি। কিন্তু প্রথমে জেনে নিন কমপক্ষে এক সপ্তাহ কী করলে আরও ভালো ভাবে ঠোঁটকে রঙিন রাখা যাবে।
ঠোঁট যদি রুক্ষ শুষ্ক হয় তাতে লিপস্টিক লাগালে ভীষণ খারাপ দেখতে লাগে। তাই ঠোঁট মসৃণ করে নিতে হবে আগে।
রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে, ভালো করে টোনার দিয়ে প্রথমে ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন।
তারপর বিশুদ্ধ নারকেল তেল এক চা চামচ হালকা গরম করে ঠোঁটে ভালো ভাবে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরুন।
সকালে উঠে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন।
এই এক সপ্তাহ রোজ এটি করুন। স্মুদ ও গ্লসি ঠোঁটের মালকিন হতে আপনি বাধ্য।
পছন্দের লিপস্টিক ঠোটে থাকুক ঘন্টার পর ঘন্টা
- প্রথমে গোলাপজল দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- তারপর টোনার লাগিয়ে তা শুকিয়ে গেলে সামান্য ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন।
- ১৫ মিনিট পর লিপস্টিকের সাথে ম্যাচ করে লিপলাইনার দিয়ে চারধার একে নিন।
- এবার লাগিয়ে নিন পছন্দের শেড। ১০ ঘণ্টা ঠিক একই রকম আকর্ষণীয় থাকবে।
- লিপস্টিক লাগানোর পর হালকা পাউডার নিয়ে ঠোঁটে পাফ করে নিন। এতে ম্যাট ফিল আসবে।
- আর যদি গ্লসি রাখতে চান তাহলে অবশ্যই লিপ গ্লস লাগাবেন।
- এছাড়া মার্কেটে লিপ প্রাইমার পাওয়া যায়। মুখে মেকাপ ধরে রাখার জন্য যেমন ফেস প্রাইমার ব্যবহার করার হয় ঠিক তেমনই, ঠোঁটে লিপস্টিক অনেক্ষন একই রকমের রাখতে ব্যবহার করা হয় লিপ প্রাইমার।
এখন থেকে আর লিপস্টিক উঠে যাওয়ার ভয় আশাকরি থাকবে না। একদম নিশ্চিন্ত হয়ে পছন্দের কালার ঠোঁটে লাগান আর হয়ে উঠুন রঙিন।