ভালোবাসার স্পর্শ মুহূর্তে মন ভালো করে দিতে পারে। ছড়িয়ে পড়ে ভালোলাগার রেশ।
অনেক রাগ অভিমান, দুঃখ, মন খারাপ অনেক কিছুই একটি ওষুধে ঠিক হয়ে যায়।
সিনেমার ভাষায় বলতে গেলে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’। তা সেই আলিঙ্গনের জন্য নির্দিষ্ট দিনক্ষণ কি খুব প্রয়োজন?
আসলে সব মুহূর্ত উদযাপনের জন্য হয়তো দিন ঠিক নির্দিষ্ট হয় না।
তবে সব মুহূর্ত স্মরণ করার জন্য যদি আলিঙ্গন দিবস নাম দিয়েই ডাকি কোনও দিনকে, ক্ষতি কি তাতে?
প্রিয়জনকে আপনার জড়ানোর কায়দাই বুঝিয়ে দেবে আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন এবং তাকে আপনি সমস্ত বিপদের থেকে কতটা আগলে আগলে রাখেন।
ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ষষ্ঠ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় হাগ ডে, বা আলিঙ্গন দিবস।
যে কারণে আলিঙ্গন দিবস পালন করা হয়
প্রাচীন রোমে, সৈনিকদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে, এই সাধু ভ্যালেন্টাইন শাসকদের নির্ধারিত সেই নিয়ম ভঙ্গ করে কয়েকজন সৈনিকের বিয়ে দিয়েছিলেন।
সে কারণে তাদের জেলে যেতে হয়, এমনকি মৃত্যুকেও আলিঙ্গন করতে হয়। সেখান থেকেই আলিঙ্গন দিবসের সূত্রপাত।
কিন্তু জানেন কি মানুষকে জড়িয়ে ধরার মধ্যে প্রকাশিত হয় নানা না বলা কথা। মানুষকে জড়িয়ে ধরা থেকেই বোঝা যায় অপর জন আপনার কতটা কাছের মানুষ।
পাশ থেকে জড়িয়ে ধরা
এমন অনেকেই আছেন যাদের সঙ্গে পরিচিতি থাকলেও, কাছের মানুষ বলা যায় না।
আবার অনেকেই আছেন যারা জড়িয়ে ধরা পছন্দ করেন না। এই সবের সমাধন করে একটা সহজ উপায়।
অপর ব্যক্তির কাধের উপর হাত রেখে আলতো করে পিঠ চাপড়ে দিন। এতে সৌজন্যও বজায় থাকবে আবার আন্তরিকতাও প্রকাশ পাবে।
ক্রসওভার আলিঙ্গন
খটমট শোনাচ্ছে? বেশ আরও খানিকটা সহজ করে দেওয়া যাক।
প্রিয় বন্ধু অথবা আত্মীয় স্বজনদের খুব আনন্দের মুহূর্তে ঠিক যেভাবে জড়িয়ে ধরেন, এক্কেবারে সেটাকেই ক্রসওভার আলিঙ্গনকেই বলে।
বন্ডিং বাড়নোর জন্যে এক অনন্য উপায়।
রোম্যান্টিক আলিঙ্গন
ভালোবাসার জোয়ারে যারা ভেসেছেন, তাদের আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না রোম্যান্টিক আলিঙ্গন কাকে বলে।
এমন আলিঙ্গন যা নিবিড়, এমন ছোঁয়া যা মুহূর্তে বুঝিয়ে দেয় ভালোবাসার গভীরতা। সেই সঙ্গে যদি যোগ হয় চুম্বনের উষ্ণতা, তাহলে তো কথাই নেই।
আলিঙ্গনের উষ্ণতাই বলে দেয় সম্পর্কের রসায়ন। তবে আর দেরি কেন, আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ুক চারপাশে!