Search
Close this search box.

ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবেন যেভাবে

আপনার ঠোঁট কি কালো হয়ে গেছে? কালো ঠোঁট আপনাকে নিশ্চয়ই অস্বস্তি দেয়?

আপনার কালো ঠোঁটকে বাই বাই বলার দিন এসে গেছে বন্ধুরা! কিন্তু কীভাবে?

জলদি জেনে নিন আর সেই মতো শুরু করে দিন আপনার ঠোঁটের যত্ন!

ঠোঁট কালো হয়ে যায় কেন? 

কালো ঠোঁটের সমস্যা নানা কারণেই হতে পারে। ঠিক মতো খাবার যদি না খান তাহলে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে, খসখসে, রুক্ষ, কালো হয়ে যেতে পারে।

তাছাড়া এস.পি.এফ. যুক্ত লিপ বাম না লাগিয়ে যদি আপনি রোজ সূর্যের আলোয় বেরোন, তাহলে আপনার ঠোঁটে ট্যান পরে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে।

ঠোঁটে ট্যান শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? কিন্তু অবাক হবেন না। এটাই কিন্তু ঘটনা!

ঠোঁটেও ট্যান পরে। আর বেশী মাত্রায় অ্যালকোহল, সিগারেট খেলে ঠোঁট এমনিতেই কালো হয়ে যায়।

ঠোঁট কালো যাতে না হয়ে যায়, তার জন্য আপনাকে প্রপার ডায়েট তো করতেই হবে।

তাই আজ থেকেই শুরু করে দিন সেই প্রপার ডায়েট আর পুজোর আগে খানিকটা হলেও করে ফেলুন ড্যামেজ কন্ট্রোল।

মধু 

কালো ঠোঁটকে তার আগের অবস্থায় নিয়ে যাবার জন্য মধু কিন্তু অসাধারণ একটা উপাদান হতে পারে। 

মধু কালো ঠোঁটকে হালকা করে ও আপনার ঠোঁটকে নরম, মসৃণ করতে সাহায্য করে। মধু আপনি সারারাত ঠোঁটে লাগিয়েও রাখতে পারেন।

তাছাড়া একচামচ মধু নিয়ম করে খেতেও পারেন। মধুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, মিনারেলস ও ম্যাগনেসিয়াম আপনার ঠোঁটে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

মধু এভাবেই আপনার ঠোঁটকে আবার আগের মতো মোলায়েম করে তুলবে।

টোম্যাটো 

টোম্যাটোতে সেলেনিয়াম নামক প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা আপনার ঠোঁটকে সূর্যের আলোর ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে।

আপনার ডায়েট চার্টে স্যালাডে প্রচুর পরিমাণে টোম্যাটো যোগ করুন।

আর সূর্যের আলোর থেকে ফেরার পর ঠোঁটের সানট্যান দূর করতে টোম্যাটোর পেস্ট বানিয়ে চটজলদি লাগান।

দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাচ্ছেন।

নারিকেল 

নারকেল কাঁচা খান বা আপনার রোজকার রান্নায় নারিকেল দিয়ে খান। নারিকেল আপনার শুকনো ঠোঁটকে আর্দ্র রাখবে।

তাছাড়া দিনে ৩-৪ বার করে নারকেল তেল আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। নারকেল তেল আপনার ঠোঁটকে নরম রাখবে ও কালো ভাবকে দূর করবে।

গ্রিন টি  

কফি দিনে বেশী খেলে তা আপনার ঠোঁটকে কালো করে দেয় তা নিশ্চয়ই আপনি জানেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন গ্রিন টি আপনার ঠোঁটের ভালো বন্ধু হয়ে উঠতে পারে।

তাছাড়া গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনলও কিন্তু আপনার ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

তাই প্রতিদিন নিয়ম করে গ্রিন টি খান ও কালো ঠোঁটকে টাটা বলুন।

আখরোট 

আপনি কি জানেন আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।

তাছাড়া আখরোট আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। তাই আপনি যদি নরম ঠোঁট চান তাহলে আপনার ঠোঁটে আখরোটের স্ক্রাব লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।

সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এটা করলে দেখবেন আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হয়ে ঠোঁট আবার আগের মতো জেল্লা দিচ্ছে।

দই 

দইতে থাকা প্রোটিন ঠোঁটকে পুষ্টি যোগায়। দই কয়েকটা কেশর দিয়ে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন রোজ নিয়ম করে।

একমাস টানা করে যান। দেখবেন আপনার ঠোঁটের কালো ছোপ দাগ ভ্যানিশ হয়ে গেছে।

তাছাড়া দইতে কেশর দিলে তা আপনার ঠোঁটের পিগমেন্টেশনও দূর করতে সাহায্য করবে।

অ্যালোভেরা 

অ্যালোভেরার জেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যালোসিন নামক ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে যা ঠোঁটের কালো দাগ চটজলদি দূর করে।

তাছাড়া অ্যালোভেরা ঠোঁটের পিগ মেন্টেশন দূর করে ঠোঁটকে পুষ্টি যোগায় ও উজ্জ্বল করে।

ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ যদি ফিরে পেতে চান ও ঠোঁটকে সূর্যের আলোর হাত থেকে বাঁচাতে চান তাহলে রোজ রাতে শুতে যাবার আগে নিয়ম করে ঠোঁটে অ্যালোভেরা জেল লাগান।

তাছাড়া আপনি অ্যালোভেরার রসও খেতে পারেন। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।

তাহলে জেনে নিলেন আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার চটজলদি উপায়।

এবার আর চিন্তা কীসের? দেরী না করে ঝটপট অ্যাপ্লাই করুন আর পুজোর আগে পেয়ে যান জেল্লাদার উজ্জ্বল ঠোঁট!

তার ওপর নিজের পছন্দের শেডের লিপস্টিক লাগাতে আপনাকে আর পায় কে?