Search
Close this search box.

মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার একেবারে উচিত নয়।

অনেকেই আছেন যারা মোবাইল ফোন দ্বারা নেশাগ্রস্ত।

এক সেকেন্ডের জন্যও ফোনের থেকে দূরে থাকেন না।

গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিয়েছে।

মোবাইল ফোনের নেশা সাঙ্গাতিক। ভিডিও গেমস, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহারের নেশার মত খারাপ।

আজকাল অধিকাংশ মানুষ অনিদ্রায় ভুগছেন। তার সবচেয়ে মূল কারন হল মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার।

শরীরের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না হওয়া।

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে।

যা বিশেষ করে এই জেনারেশানের যুবসম্প্রদায়ের কাছে একপ্রকার নেশার আকার ধারন করেছে।

দৈনন্দিন জীবনযাপনে অনিয়ম তৈরি হয়ে গিয়েছে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

স্মার্ট ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ৮০% মানুষের।

রাতজেগে নানান অ্যাপস নিয়ে খুটখাট করার ফলে কমে যাচ্ছে ঘুমের পরিমান। দেখা দিচ্ছে অনিদ্রা।

ই-মেল, ফোন কলস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যান্ত্রিক বিষয় ফোনের সাথে থাকায় স্মার্টফোন আমাদের সাথে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িয়ে।

অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহারের ফলে ঘুম ঠিকঠাক হয় না। ঘুমানোর সময় কমে যায় নানান সমস্যা দেখা দেয়।

ঘুম ঠিক না হলে কাজের এনার্জি থাকে না, সারাদিন মুড খারাপ থাকে।

পজেটিভ ভাইব কাজ করে না। যা খুবই ক্ষতিকারক প্রমানিত হতে পারে।

নামোফবিয়া হল একধনের ফোন ঘটিত সমস্যা যা ফোনের থেকে হয়।

কোন ব্যাক্তি ফোন দ্বারা অতিরিক্ত নেশাগ্রস্ত, কোন কারণে ফোন সুইচঅফ হয়ে গেল বা কাছের থেকে ফোন হারিয়ে গেল তখন সেই ব্যাক্তি একধরণের অবসাদে ভোগে।

গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার মানুষের মস্তিষ্কে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।

মানুষ পাগল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

ফোন থেকে বেরোনো রেডিয়েশান ব্রেনে প্রভাব ফেলে।

যা থেকে টিউমার ও পরে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে। 

অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিভাবে কমাবেন  

  • কাজের সময় ছাড়া ই-মেল চেক করবেন না। কাজের সময় বাদে বাকি সমায় মেল আইডি বন্ধ করে রাখবেন।
  • খাওয়ার খাবার সময় ফোন কাছে না রাখার চেষ্টা করুন। যদি থাকে তাহলে টা পকেটে রাখুন।
  • এডিশানাল অ্যাপ্লিকেসান ফোন থেকে ডিলিট করে দিন।
  • ফোনকে অ্যালার্ম ক্লক হিসিবে ব্যবহার করবেন না।
  • বার্থরুমে ফোন নিয়ে যাবেন না। এমনকি, চেষ্টা করবেন বেডরুমে ফোন না নিয়ে যেতে ঘুমানোর সময়।

এখন থেকে সতর্ক হলে ফোন থেকে হওয়া সমস্যা কমে আসবে।

অনিদ্রার সমস্যা থাকবে না। ফোনের মায়াবী দুনিয়া থেকে বেরিয়ে আসুন বাস্তবে।