অলিভ অয়েলের ফোঁটায় ফোঁটায় যে স্বাস্থ্যের আশ্বাস লুকিয়ে আছে, সে কথা তো মোটের উপর সকলেই জানেন। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের পক্ষে অলিভ অয়েল খুবই ভালো।
শীতের দিনে অলিভ অয়েল ছাড়া চলে না এমনও অনেকেই আছেন। শুধু শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফেরানোই নয়, রূপচর্চার আরও নানা ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা রয়েছে অলিভ অয়েলের। জানতে হলে পড়তে থাকুন।

হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে অলিভ অয়েল
হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে বেছে নিতে পারে অলিভ অয়েল। চুল কন্ডিশনিংয়ের কাজে অলিভ অয়েলের জুড়ি মেলা ভার!
আধ কাপ অলিভ অয়েল গরম করে নিন, তারপর গোটা চুলে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন।
শাওয়ার ক্যাপে মাথা ঢেকে ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
আলাদাভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করার দরকার হবে না!

ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অলিভ অয়েল
গোসলের পানিতে পাঁচ-ছয় চা-চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই জলে স্নান করুন।
স্নানের পর তোয়ালে দিয়ে গা আলতোভাবে মুছে নিলেই দেখবেন ত্বক কেমন তুলতুলে কোমল হয়ে গেছে!

লিপ স্ক্রাব হিসেবে অলিভ অয়েল
সমস্ত মৃত কোষ তুলে ফেলে ঠোঁট নরম রাখতে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি লিপ স্ক্রাব।
এক টেবিল চামচ করে চিনি, অলিভ অয়েল আর সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন।
এই মিশ্রণটা দিয়ে ঠোঁটে কিছুক্ষণ হালকা মাসাজ করলে মৃত কোষ উঠে যাবে, বাড়তি আর্দ্রতা পাবে ঠোঁট।

সান বার্ন কমাতে অলিভ অয়েল
রোদে ত্বক পুড়ে গেলে আপনার ভরসা অলিভ অয়েল। এক কাপ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সিকি কাপ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পোড়া জায়গায় দিনে তিন-চারবার লাগান। ত্বকের জ্বালা আর পোড়াভাব দুইই কমবে।
শেভিংয়ের পর অলিভ অয়েল
ত্বকের অবাঞ্ছিত রোম রেজার দিয়ে তোলার পর অনেকেরই ত্বকে জ্বালা হয়, লাল হয়ে যায়। শেভিং করার আগে সাবান বা ফোমের বদলে ভালো করে অলিভ অয়েল মেখে নিন।
শেভিং করা সহজ হবে, ত্বকও থাকবে সুস্থ আর কোমল।