পার্লারে যারা নিয়মিত যান তারা নিশ্চয়ই অক্সি ডি ট্যান সম্পর্কে অবগত।
অনেকেই ফেসিয়াল করার আগে অক্সি ডি ট্যান আগে করে নিয়ে তারপর ফেসিয়াল করেন।
কারন স্কিনের যত্ন নিতে এটি অসাধারণ কাজ করে।
এখন হয়তো অনেকেই ভাবছেন যে পার্লারে না গেলে কি অক্সি ডি ট্যান করা যাবে না? নিশ্চয়ই করা যাবে।
রেডিমেড ফেসপ্যাক কিনে এনেও এটা করতে পারেন, অথবা একেবারে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
অক্সি ডি ট্যান কি? কেন করবেন?
রোদের থেকে হওয়া শরীরের কালো ছোপকে বলা হয় ট্যান। এই ট্যান সরানোকে বলা হয় ডি ট্যান করা।
অক্সি ডি ট্যান হলো একেবারে গভীর থেকে ট্যান সরানো। স্কিন কেয়ারের ক্ষেত্রে এটি করা খুবই প্রয়োজন।
যাদের মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে রোদের থেকে ট্যান পরে কালো হয়ে গিয়েছে, তাদের সপ্তাহে একবার করে অবশ্যই এটি করা উচিত।
৩ ধাপে অক্সি ডি ট্যান ঘরোয়া ফেসপ্যাক
ঘরোয়া ভাবে স্কিনের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে ভালো, এতে কাজ হতে সময় লাগে কিন্তু কোন রকমের ক্ষতি হয় না ত্বকে।
বরং ভিতর থেকে স্কিন আরও হেলদি হয়ে ওঠে।
অক্সি ডি ট্যান প্যাক ঘরে বানিয়ে ব্যবহার করা সবচেয়ে বেস্ট স্কিনের জন্য।
সময় নেবে একমাস মত, কিন্তু রেজাল্ট পাবেন একশো শতাংশ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক অক্সি ডি ট্যান ফেস প্যাক কিভাবে বানাবেন ও ব্যবহার করবেন স্টেপ বাই স্টেপ।
প্রথম ধাপ
প্রথমে মুখ ধুয়ে নিন ফেসওয়াশ দিয়ে।
তারপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ভালো ভাবে মুখ মুছে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
এবারে সরাসরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
সেক্ষেত্রে এটি একবার বানিয়ে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন ৩ দিন মত।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় যখন ব্যবহার করবেন তখনই বানিয়ে নিয়ে অ্যাপ্লাই করা।
উপকরণ
- লবঙ্গের পেস্ট ২ চা চামচ
- পুদিনা পাতার পেস্ট ৪ চা চামচ
- এসেন্সিয়াল অয়েল ২ ড্রপ মত
ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পদ্ধতি
- উপরে উল্লেখিত উপকরণ পরিমান মত একটি কাঁচের পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- হাত দিয়ে প্রথমে ভালো করে মুখে, বিশেষত ট্যান পরা জায়গায় প্যাকটি অ্যাপ্লাই করুন।
- হালকা হাতের তালুর চাপে ৫ মিনিট মত ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন প্যাকটি শুকোনোর।
- ২০ মিনিট অপেক্ষা করলেই হবে। তারপর নর্মাল জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- সপ্তাহে দুবার করে এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করলেই হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখানে বিশেষ কিছু করতে হবে না।
ফেসপ্যাক লাগানোর পর মুখ ধুয়ে নেওয়ার ৫ মিনিট পর টোনার লাগিয়ে নিন মুখে।
আপনি এক্ষেত্রে নিয়মিত যে টোনারটি ব্যবহার করে তা অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
অথবা গোলাপজল টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
খুবই সিম্পল ও কম সময়ে করার মত অক্সি ডি ট্যানিং একমাস করে দেখুন।
নিজেই নিজের স্কিনের তফাৎ দেখতে পাবেন।