ব্রণ কমে গেলেও তার স্মৃতি কিছুতেই যেন যেতে চায় না! কখনও এবড়োখেবড়ো গর্ত, কখনও কালো দাগ, ব্রণ একবার হলে তার খপ্পর থেকে বেরোনো খুব কঠিন!
ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পরেও থেকে যাওয়া কালো দাগ কমানো সহজ নয়।
বিশেষ করে বাজারচলতি রাসায়িনক উপাদানের জিনিস ব্যবহার করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা তো থেকেই যায়!
তা হলে কী করণীয়? করণীয় হলো, এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের সন্ধান করা যা ব্রণের কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করবে এবং সঙ্গে ত্বকও রাখবে মসৃণ।
আমরা খোঁজ দিচ্ছি তেমনই কিছু কার্যকর উপাদানের যা একশো শতাংশ প্রাকৃতিক এবং আপনার ত্বকের কোনওরকম ক্ষতি না করেই দাগ কমাতে সক্ষম।
তাহলে দেরি কিসের, ঝটপট চোখ বুলিয়ে নিন!

কমলালেবুর খোসা
বাজারে কমলালেবু পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। কমলালেবুর খোসাটা ফেলবেন না, কারণ ওর মধ্যেই রয়েছে দাগহীন উজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি।
কমলালেবুর খোসা প্রথমে রোদে শুকিয়ে নিন, তারপরে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
এবার এক চাচামচ মধু আর এক চাচামচ খোসার গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
এই পেস্টটা ব্রণ আর ব্রণর দাগের উপর ভালো করে লেপে দিন।
শুকোনোর পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন-চারবার করে করতে পারলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফল দেখতে পাবেন।

টি ট্রি অয়েল
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকার কারণে টি ট্রি অয়েল ব্রণর সংক্রমণ, ব্যথা, লালচেভাব কমাতে পারে।
দু’ তিন ফোঁটা টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল কোনও কেরিয়ার অয়েলে (যেমন অলিভ অয়েল বা সুইট আমন্ড অয়েল) মিশিয়ে দাগের উপর লাগান।
এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন করলে ধীরে ধীরে দাগ ফিকে হয়ে আসবে।
তবে টি ট্রি অয়েল থেকে অনেকের ত্বকে ইরিটেশন হয়, তাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে দেখে নেবেন।

অ্যালোভেরা জেল
ক্ষত সারানোর এক আশ্চর্য গুণ রয়েছে অ্যালো ভেরার মধ্যে। তাছাড়া ব্রণের উৎপাত কমাতেও অ্যালো ভেরা কার্যকর।
এক চাচামচ অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। প্রতি রাতে করতে হবে।

হলুদ
ত্বকের যে কোনও সমস্যায় হলুদের ব্যবহার সেই প্রাচীন যুগ থেকেই চলে আসছে।
হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডান্ট আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের ক্ষত আর দাগ কমাতে খুবই কার্যকর।
এক চাচামচ হলুদগুঁড়োয় খানিকটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপর লাগান।
১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। একদিন অন্তর একদিন লাগাতে হবে।
ট্রাই করেই দেখুন না। আশা করি, উপকার পাবেন।