Search
Close this search box.

সহজ উপায়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করুন

চুলের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি আগা ফেটে যাওয়া।

অনেকেরই অভিযোগ, যেভাবেই যত্ন নেওয়া হোক না কেন, কিছুদিন পর ঠিক ফিরে আসে এই সমস্যা।

পাশাপাশি এ সময় চুল দেখতে শুষ্ক, নির্জীব ও রুক্ষ লাগে এবং চুলের বৃদ্ধিও থেমে যায়।

অনেকে প্রাথমিক সমাধান হিসেবে চুল ট্রিম করে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

কিন্তু কিছুদিন পরই আবার তা ফিরে আসে। যাঁদের সমস্যা প্রকট, তাঁদের ক্ষেত্রে কন্ডিশনার, হেয়ার সিরাম ব্যবহার করেও লাভ হয় না।

ঠিকভাবে যত্ন নিলে চুলের আগা ফাটা সমস্যা আর ফিরে আসবে না।

এই সমস্যার মূল কারণ অপুষ্টি এবং অযত্ন।

প্রথমে এই দুটি বিষয়ে সচেতন হলে চুলরে আগা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এবং প্রাকৃতিক অনেক উপাদানই চুলের আগা ফাটা সমাধানে কার্যকরী।

নিয়মিত যত্ন এবং সঠিক খাওয়াদাওয়া সহজেই এই সমস্যাকে কাবু করতে পারে।

কিছু সাধারন যত্ন ও ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্কও হতে পারে সমাধান।

মধু

প্রাকৃতিক গুণে সমৃদ্ধ মধু চুলের আগা ফাটা রোধ করে।

টক দই ও মধু মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে, মিশ্রণটি চুলের ডগায় লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।

এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

হট অয়েল ট্রিটমেন্ট

অতীতেও চুলে তেলের ব্যবহার ছিল অপরিহার্য।

চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবে, চুলের গোড়া থেকে আগার দিকে তেল মালিশ করবেন।

খুব জোরে ঘষলে চুলের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অন্তত এক ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রাখা উচিত।

কোকোনাট মিল্ক প্যাক

কিছু পরিমাণ টাটকা নারকেলের দুধ নিয়ে পুরো মাথার তালুতে এবং চুলের ডগায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে।

এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন।

কলা

কলাকে বলা হয় প্রাকৃতিক কন্ডিশনার।

পাশাপাশি এটি চুলের ইলাস্টিসিটি বাড়ায় এবং চুল পড়া রোধ করে।

কলা চটকে সরাসরি চুলে লাগানো যেতে পারে।

আবার কলা, মধু ও টক দইয়ের পেস্টও ব্যবহার করা যায়।