Search
Close this search box.

ব্যাক পেইন থেকে বাঁচার উপায়

হঠাৎ ব্যাক পেইন হলে অনেকে মনে করেন কিডনির সমস্যা।

দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকার কারণে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

তবে এই সমস্যা দীর্ঘদিনের হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

কমবেশি সবার ব্যাক পেইন অর্থাৎ কোমরের বা মাজার ব্যথা হতে পারে। বার্ধক্যের কারণে এই ব্যথা বাড়তে পারে।

একটানা চেয়ারে বসে থাকলে বা দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে, এটি হতে পারে।

শুধু ওষুধ খেলেই  ব্যথা ভালো  হবে এমন নয়।

ব্যাক পেইন কেন হয়?

বিভিন্ন কারণেই ব্যাক পেইন হতে পারে। মূলত মেরুদণ্ড বা স্পাইন-সম্পর্কিত ব্যথাকেই আমরা ব্যাক পেইন বলে থাকি।

স্নায়ু, পেশি, হারজোড় ইত্যাদি কারণেই ব্যাক পেইন দেখা যায়।

মেরুদণ্ডের পেশি, স্নায়ু, হাড়ের জোড়া যদি সঠিক অবস্থানে সঠিক কাজ না করতে পারে, তাহলে ব্যথা সৃষ্টি হয়।

আসুন জেনে নিই কোমর ব্যথা দূর করতে কী করবেন-

১. ব্যাক পেইন হলে পিঠ সোজা হয়ে বাসার অভ্যাস করুন। পিঠ সোজা করে বসতে ও চলাফেরা করতে হবে।

২. দুই পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা উঁচু রেখে ঘুমাতে হবে।

৩. চেয়ারে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার সময় বসবার জায়গাটা যেন উঁচু থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

৪. ভারী পানির বালতি বা ব্যাগ বহন করলে ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই ভারী কিছু বহন করা যাবে না।

৫. বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালানোর কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে। এক্ষেত্রে বাইসাইকেল চালানো পরিহার করতে হবে।

৬. ব্যাক পেইন হলে বিশ্রাম নিতে হবে। ব্যাক পেইন ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্রামের বিকল্প নেই।

৭. কোমর ব্যথা হলে সেঁক ও বরফ দেয়া যেতে পারে। কখনও কখনও সেঁক দিলে অথবা বরফ দিলে উপকার পেতে পারেন। 

৮. ব্যাক পেইন সারাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।