ত্বকের রুক্ষতা একটি বড় সমস্যা। একদিন ময়েশ্চারাইজিং রুটিনে কোনও ফাঁক থেকে গেলেই শুকনো টান ধরে মুখে, স্নানের আগে বডি অয়েল মাখার সময় না পেলেই সারাদিন খসখস করে হাত-পা!
তবে শুধু আবহাওয়াকে দোষ দিলেই কিন্তু হবে না, আমাদের নিজেদের অনেক ভুল কাজকর্মের কারণেও কিন্তু একটুতেই ত্বক প্রচণ্ড শুকনো হয়ে যেতে পারে।
একনজরে দেখে নিন ত্বক ঠিকঠাক আর্দ্রতায় ভরপুর রাখতে কী কী ভুল মোটেই করা চলবে না!

গরমের স্কিনকেয়ার মেনে চলা
শিরোনামটা পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ভুলটা কোথায় হল? গরমের দিনে যে স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলেন, যদি শীতেও চালিয়ে যান, তা হলে আপনার ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়বে।
শীতের দিনে তাপমাত্রা আর বাতাসের চাপ বদলে যায়, আপনারও ক্লিনজিং, ময়শ্চারাইজিং রুটিনেও বদল আনতে হবে।
গরমের দিনে জেল ক্লিনজার চলতে পারে, শীতে তার বদলে ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার যুক্ত কোমল ক্লিনজার।
ওয়াটার-বেসড ময়েশ্চারাইজারের বদলে বেছে নিন ভারী ময়েশ্চারাইজার। বারবার মুখ ধোবেন না, তাতে ত্বক আরও শুকনো লাগবে। সপ্তাহে একদিন এক্সফোলিয়েট করুন।

সানস্ক্রিন না মাখা
শীতে রোদের তেজ কম বলে সানস্ক্রিন মাখা যদি বাদ দিয়ে দেন, তবে নিজের ত্বকের সঙ্গেই শত্রুতা করা হবে।
তাপমাত্রা যতই কম থাক, তাতে অতিবেগুনী রশ্মির সক্রিয়তা একটুও কমে না এবং তা একইভাবে ত্বকের ক্ষতি করে। তাই বাড়ির বাইরে পা দেওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখবেন।

গরম পানিতে গোসল
অতিরিক্ত গরম পানিতে হলে তা আপনার ত্বকের উপরের প্রাকৃতিক তেলের আবরণ একেবারে নষ্ট করে দেয়, ফলে ত্বক খুব তাড়াতাড়ি রুক্ষ হয়ে যায়, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে।
হালকা গরম পানিতে স্নান করুন, ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে স্নান করবেন না। স্নানের পরে সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে হাইড্রেটিং ক্রিম মেখে নেবেন।
যাতে ময়শ্চারাইজারটা ত্বকের গভীরে ঢুকতে পারে।

ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখা
শীতের দিনে ঠোঁট ফাটা খুব স্বাভাবিক, কিন্তু ঠোঁট ফাটলেই যদি পেট্রোলিয়াম জেলি মাখতে থাকেন, তাতে খুব একটা উপকার পাবেন না।
পেট্রোলিয়াম জেলি সাময়িক আরাম দিলেও আখেরে ঠোঁট আরও শুকনো করে দেয়। বদলে কোনও ভারী ময়শ্চারাইজার মাখলে ঠোঁট ফাটা কমাতে পারবেন।
নিয়মিত দুধের সর বা ঘি মাখলেও ঠোঁট ফাটা কমে।