এমন কোনও বাঙালি মহিলা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যাঁর আলমারিতে ভালো শাড়ি নেই!
নিজের কেনার অভ্যেস না থাকলেও মা-মাসি-শাশুড়ির থেকে কিছু না কিছু পেয়েছেন নিশ্চয়ই?
কিন্তু শাড়ি পরতে যেহেতু সময় লাগে, তাই পরাটা এড়িয়ে চলছেন কি?
অনেকে মনে করেন পোশাক হিসেবে শাড়ি যথেষ্ট স্মার্ট নয়।
তার চেয়ে ট্রাউজার্স বা নানা ধরনের প্যান্ট দিয়ে অনেক রকম লুক তৈরি করা সম্ভব।
কিন্তু আজকাল তো স্টাইলিস্টদের কল্যাণে নানাভাবে শাড়ি ড্রেপ করার রেওয়াজ চালু হয়ে গিয়েছে – তা নানা অনুষ্ঠানেও পরা যায় এমনকী!
শাড়ির সঙ্গে কখনও বেল্ট পরে দেখেছেন?
সাধারণভাবে শাড়ি পরার পর সরু বেল্ট পরে নিন।
অনেকে সোনালি রঙের একেবারে পাতলা গড়নের বেল্ট বেছে নেন এবং সেটি দেখতে বেশ ভালো লাগে।
খুব ট্র্যাডিশনাল শাড়ির সঙ্গে সনাতন নকশার বেল্ট দারুণ দেখতে লাগে।
আধুনিক প্রিন্টে জর্জেট বা শিফন শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন চামড়ার বেল্ট।
শাড়ির কুঁচিটা সামনে না রেখে ধুতির মতো ঘুরিয়ে মহারাষ্ট্রীয়দের মতো কোমরে গুঁজে নিলেও ভালো দেখায় কিন্তু!
আঁচলটা কাঁধের উপর দিয়ে নিয়ে গিয়ে গলা পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে দিন।
পুরোনো দিনের বলিউড তারকা যেমন পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে শাড়ি পরতেন এক কালে, ফিরে এসেছে সেই স্টাইলও।
সায়ার বদলে প্যান্টের সঙ্গেও শাড়ি পরা হচ্ছে – সেক্ষেত্রে প্যান্টটি যেন দেখা যায় সে বিষয়টা নিশ্চিত করুন।
দিনের বেলা কোনও অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন থাকলে সামনে কুঁচি দিয়ে খুব সাধারণভাবেই শাড়িটি পরুন।
তবে কাঁধের কাছে গুছিয়ে নিন, সেটি আলাদা করে লুকটার সৌন্দর্য বাড়াবে।
অবশ্য অফিসে পরে যাওয়ার থাকলে ফরমালি আঁচলটা গুছিয়ে নিয়ে কাঁধের উপর পিন করে আটকে রাখলেই সবচেয়ে সুবিধে হবে।