Search
Close this search box.

রোদ থেকে ত্বক সুরক্ষার সহজ উপায়

রোদ যতই ভালো লাগুক, বেশিক্ষণ এই রোদ যে স্কিনের জন্য একদমই ভালো না তা আর বুঝতে নিশ্চয়ই বাকি নেই।

কিন্তু রোদের ভয়ে তো আর বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব নয়। আর যদি রোদেই আপনার কাজ হয়, তাহলে হাতে করে সানস্ক্রিন নিয়ে ঘোরাও সম্ভব নয়।

তবে যেটা সম্ভব সেটা হলো স্কিনের বেস্ট কেয়ার নেওয়া। তাহলেই রোদ লাগলেও স্কিন ট্যান বা ড্যামেজের ভয় থাকবে না।

রোদের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে কীভাবে নেবেন যত্ন। দেখে নিন।

বাইরে বের হবার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন

অনেকেই বাড়ি থেকে বের হবার জাস্ট একটু আগেই সানস্ক্রিন লাগান। ওই কয়েক মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না।

তাই বাইরে যাবার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখা দরকার। স্কিনকে এটা নিতে একটু সময়তো দিতেই হবে।

আর সানস্ক্রিন অন্তত এস.পি.এফ ৩০ হওয়া দরকার। কমপক্ষে এস.পি.এফ ৫০ আরও বেশি হলে আরও ভালো।

যারা সারাদিন বাইরে ঘুরে ঘুরে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি এস.পি.এফ হলে ভালো।

খুব বেশি রোদে বের হলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন লাগানো দরকার।  

আমরা অনেকেই প্রচুর প্রচুর সানস্ক্রিন মাখি আর ভাবি এতেই বুঝি রোদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে ত্বক! আসলে ব্যাপারটা অতটাও সহজ নয়!

সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে ঠিকই, কিন্তু গাদা গাদা সানস্ক্রিন মাখলেই ত্বক সুরক্ষিত হয় না।

বরং সানস্ক্রিনের পুরো উপকারিতাটা পাওয়ার জন্য কেনার সময়ই মাথায় রাখুন কয়েকটা জরুরি বিষয়।

কোন সময়ের রোদ বেশি ক্ষতি করে স্কিনের?

সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সময়ের রোদ বেশি ক্ষতিকর স্কিনের জন্য। তাই ওই সময়টা একটু এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো হয়।

বিশেষত গরমকালটা। ওই সময় রোদ খুব চড়া থাকে। তাই দিনের বাকি সময়টা বাইরের কাজ করে নিতে পারলে ভালো।

তবে খুব বেশি কাজ থাকলে তো বেরোতেই হবে। তাই সেই সময়ের ভরসা সানস্ক্রিন তো আছেই। বেশি এস.পি.এফ যুক্ত সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে।

স্কিনকে যতটা সম্ভব বাঁচিয়ে রাখা

শীতের রোদ হালকা হলেও, গরমের রোদ কিন্তু খুব চড়া। তাই ও সময় যতটা সম্ভব ফুলহাতা জামা প্যান্ট ভালো।

যতটা স্কিনকে ঢেকে রাখা যায়,ততই ভালো। আর রোদ থেকে গোটা শরীরকে ঢেকে রাখতে, ছাতা তো অবশ্যই ব্যবহার করা দরকার।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন

রোদের ট্যান হওয়ার হাত থেকে স্কিনকে বাঁচাতে, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান।শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেড রাখা কিন্তু খুব জরুরি।

আর পানি শরীরের সাথে সাথে স্কিনকেও রাখবে হাইড্রেটেড। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি ও ফল খাওয়া দরকার যদি রোদের হাত থেকে স্কিনকে বাঁচাতে চান।

খাবার

রোদের হাত থেকে স্কিনকে বাঁচিয়ে রাখতে, খাবারের দিকে মন দেওয়াও দরকার। খাবারের তালিকায় রাখুন প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

তাই বেশি করে ফল শাকসবজি খান। বিশেষ করে কালোজাম, কালোআঙুর, আপেল, পালংশাক, বিনস এগুলো খাবারের তালিকায় রোজ রাখুন।

এছাড়া সব ফলেই এবং সবুজ শাকসবজিতেই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোদের স্কিন ড্যামেজ, স্কিন অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে।

এছাড়াও ফ্রী রেডিকেলসের হাত থেকে বাঁচায় এবং অতিরিক্ত রোদ থেকে তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং,রিঙ্কেলস চলে আসে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সেটা থেকেও স্কিনকে প্রোটেক্ট করে। এক্ষেত্রে রোজ গ্রীন টি কে সঙ্গে রাখুন।

স্কিন কেয়ার রুটিন

রোদের স্কিন ড্যামেজ থেকে ত্বককে বাঁচিয়ে রাখতে, রোজের একটা স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা দরকার।

যেমন রোজ স্কিনকে পরিষ্কার করা। পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগানো।

মুখের ক্ষেত্রে প্রথমে ক্লিঞ্জিং তারপর টোনিং তারপর ময়েশ্চারাইজিং এই তিনটি জিনিস রোজ করতে হবে।

মানে প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া, তারপর টোনার লাগানো, এর কিচ্ছুক্ষণ পর সেটা ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজার লাগানো।

আর সপ্তাহে একদিন স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করা দরকার। এই এক্সফোলিয়েট ত্বকের মরা কোষকে সরিয়ে দেয়।

নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। তার ফলে ট্যান রিমুভ হয় খুব সহজে এবং স্কিন হয় হেলদি।

কিভাবে করবেন স্কিন এক্সফোলিয়েট

বাড়ির কিছু সহজ উপকরণ দিয়েই স্কিন এক্সফোলিয়েট করা যায়।

উপকরণ

১ চামচ মধু, ১ চামচ চিনি।

পদ্ধতি

উপকরণগুলি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটা মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।একদম জোরে নয়, আস্তে আস্তে করবেন।

২ থেকে ৩ মিনিট ঘষে নিন, এবার এটা স্কিনে লাগিয়ে রাখুন এটা ৫ মিনিট।

তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন এভাবে স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করুন।

তাহলে বুঝে গেলেন তো রোদের হাত থেকে স্কিনকে বাঁচাতে কি কি করতে হবে।

ব্যাস এগুলো প্রতিদিন মাথায় রাখুন। তাহলেই রোদ যতই থাক রোদের জন্য স্কিন ড্যামেজের চিন্তা থাকবে না।