Search
Close this search box.

ফেসিয়াল সিরাম: কী, কেনো এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন?

অনেকেই ভাবেন  সিরাম মানেই বাড়তি খরচ। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য ফেসওয়াশ-ক্রিম ব্যবহারই যথেষ্ট।

যদি আপনিও মনে মনে এমন ধারণা পোষণ করেন, তবে জেনে নিন, কীভাবে সিরামই ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে আপনার ত্বকে।

সিরাম কি? সিরাম কেন ব্যবহার করা উচিত?

এটি হচ্ছে এক ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট যা ত্বক পরিস্কার করার পর এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পূর্বে ত্বকে ব্যবহার করতে হয়।

সিরাম তৈরি হয় খুব ছোট ছোট মলিকলস দ্বারা যা ত্বক বা চুলে সহজেই মিশে যেতে পারে। 

মলিকলস শক্তিশালী উপাদান দ্বারা তৈরি হয় যা কার্যকরী ভাবে কাজ করে।

যার ফলে এটা স্কিন কেয়ারের বিভিন্ন বিষয় যেমন ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ ইত্যাদির ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে।

আপনি যদি মনে করেন আপনার বর্তমান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট আপনার ত্বককে সজীব ও প্রানউজ্জল করতে পারছেনা তখনিই আপনি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।

সিরাম ব্যবহার করতে হয় ত্বক পরিস্কার করার পর যখন ত্বকে ভেজা ভাব থাকে তখন।

সিরাম ব্যবহার করতে হয় খুব অল্প পরিমাণ। পাঁচ ফোটার বেশী না।

ত্বকে সিরাম ব্যবহারের ফলাফল বেশীরভাগ সময় সাথে সাথেই পাওয়া যায়।

এটা দিনে একবার ব্যবহার করলেই চলে।

সিরাম কি হতে পারে ময়েশ্চারাইজারের বিকল্প?

একেবারেই না। সিরাম ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজারের আগে।

সিরাম ত্বকের গভীরে গিয়ে বলিরেখা বা নিষ্প্রাণ ত্বকের সমস্যার বেশকিছু সমস্যার সমাধান করে।

আর ময়েশ্চারাইজার সিরামের উপর একটা আস্তরণ তৈরি করে সিরামের গুণগুলিকে রক্ষা করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন সিরাম?

কোনও উপাদানকে ত্বকের গভীরে সহজেই পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয় সিরাম।

সরাসরি ত্বকে কাজ করে বলে সিরাম ব্যবহারের ফল হয় দারুন।

বিশেষত, দাগছোপ, বলিরেখা, কোঁটকানোভাব বা শুষ্কতা ইত্যাদির মোকাবিলা করে সিরাম।

তাই, ত্বক পরিষ্কার করার পর এবং ময়েশ্চারাইজ়ার লাগানোর আগে সিরাম ব্যবহার করা উচিত।

সিরাম লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। তাহলে, ত্বক তাড়াতাড়ি শুষে নেবে সিরাম।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তবেই অন্য প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

সাধারণত, দিনে দু’বার ব্যবহার করা উচিত  সিরাম।

সিরামের গুণাগুণ

  • ব্যবহার করতে বেশি সময় লাগে না।
  • তাড়াতাড়ি কাজ করতে শুরু করে।
  • ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে।
  • ত্বকের রং উন্নত হয়।
  • স্কিনের গভীরে গিয়ে আর্দ্রতা জোগায়।
  • সহজে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
  • ফোলাভাব কম করে।
  • দাগছোপ হালকা করে।
  • ডার্ক সার্কল দূর করে।
  • ত্বককে সারিয়ে তোলার কাজ শুরু করে।

সঠিক সিরাম কীভাবে বাছাই করবেন?

প্রতিটি সিরামই কার্যকরি উপাদানে পরিপূর্ণ থাকে।

এক এক ধরনের ত্বকের জন্য এক একরকম সিরাম পাওয়া যায়।

তাই প্রথমেই সিরামের বোতলের পিছনে লেখা থেকে জেনে নিন, তাতে কোন কোন উপাদান আছে।

আর কেনার আগে ত্বকের যে কোনও অংশে অল্প সিরাম লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন, কোনোরকম সমস্যা হচ্ছে কি না।

আপনার ত্বকের জন্য কোন সিরাম উপযুক্ত, তা বোঝার জন্য রইলো কিছু টিপস

  • ব্রণ-ফুসকুড়ি বেশি হয় এমন ত্বকের জন্য বেছে নিন, ভিটামিন-C, জিঙ্ক, স্যালিসিলিক অ্যাসিড ও রেটিনলযুক্ত সিরাম।
    জিঙ্ক ত্বকের জ্বালাভাব ও অস্বস্তি দূর করে। রেটিনল ফোলাভাব কমায়।
    স্যালিসিলিক অ্যাসিড রোমকূপ পরিষ্কার করে। ভিটামিন-C ত্বকে তেল উৎপাদন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
  • শুষ্ক ত্বকের জন্য বেছে নিন, ভিটামিন-E, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ও হাইড্রোলিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম।
    এর উপাদানগুলি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, এক্সফোলিয়েট করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে ত্বককে করে তোলে কোমল।
  • নিষ্প্রাণ ত্বকের জন্য বেছে নিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত সিরাম।
    গ্রিন-টি এক্সট্র্যাক্ট রয়েছে এমন সিরাম ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
  • ত্বকের কোঁচকানোভাব কম করতে পেপটাইডসমৃদ্ধ সিরাম বাছা উচিত।
    এর ফলে, কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক হয়ে ওঠে টানটান।