শপিং করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কেউ কেউ বেসামাল শপিং এ হয়ে ওঠেন শপাহলিক। এখন তো আবার আবার অনলাইন শপিং এর যুগ। তাই নিজেকে সামলানো বেশ কঠিন হয়ে যায় অনেকের জন্যেই।
কিন্তু এত সুবিধে থাকা সত্ত্বেও কি একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে নানা প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে হাত কামড়াতে হয় আপনাকে?
তাহলে আমাদের টিপসগুলি অবশ্যই মেনে চলুন– জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে!
লিস্ট তৈরি করে নিন অবশ্যই
কী কী কিনবেন তার একটা তালিকা তৈরি করে নেওয়া একান্ত আবশ্যক। আরও ভালো হয় যদি বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি ননদ-দেওর বা ভাই-বোনদের কাকে কী দেবেন সেই সিদ্ধান্তটাও নিয়ে ফেলেন।
বাজেট
ঠিক কত টাকা খরচ করলে বাড়তি চাপ পড়বে না, তা জানেন তো? শপিংয়ের বাজেট থাকাও কিন্তু একান্ত জরুরি।
তা না হলে পরের মাসেই আফসোস করতে হবে! বাজেটের মধ্যে থাকার অভ্যেসটাও নিঃসন্দেহে খুব কাজে দেয়।
অ্যাকসেসরিজ
নতুন পোশাকের সঙ্গে মানানসই বেল্ট, ফ্ল্যাট ও হিল দেওয়া জুতো, কানের দুল, গলায় পরার গয়না আর ব্যাগ পরতে ভালোবাসেন অনেকে।
সব তো প্রতিবার নতুন করে কেনা সম্ভব নয়, তাই এমনভাবে শপিং করুন যেন সব কিছু মিলিয়ে-মিশিয়ে পরা যায়।
মেকআপ ও প্রসাধনী
আপনার পুরোনো হয়ে যাওয়া, এক্সপায়ারি ডেট পেরোনো মেকআপ বা পারফিউমগুলো বিদায় করুন সময়মত। সেই সঙ্গে এমন কিছু স্টক করুন যা সাজের সময় কাজে লাগবে।
ঠান্ডা মাথায় মেকআপ কিনুন, প্রতিটি নতুন জিনিস কেনার আগে প্যাচ টেস্ট করাটাও বাধ্যতামূলক। তা না হলে কিন্তু অ্যালার্জি হতে পারে।
ঘর সাজানোর টুকিটাকি
ঘরের পর্দা আর বিছানার চাদর-বেডকভার সব ঠিকঠাক আছে তো? তা না হলে সেগুলিও কিনতে হবে একসেট করে। তাই সেই খাতে আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখুন অবশ্যই।
অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনবেন না
কোনোকিছু কেনার আগে ভালোমতন নিশ্চিত হয়ে নিন যে সেটা আপনার দরকার কিনা। ক্ষণিকের ভালোলাগায় আমরা এমন সব জিনিস কিনে ফেলি যেটার আসলে তেমন প্রয়োজন নেই।
তাই কিছু কেনার আগে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন আপনার জীবনে সেটার উপযোগ আছে কিনা। যদি না হয় তবে নিজেকে সামলান। আর যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তবে শপিং করুন নিশ্চিন্তে।