অসহ্য গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত।
কেউ বলছে আমপাকা গরম, কেউ বলছে তালপাকা।
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা প্রায়ই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হচ্ছে।
অন্য বিভাগীয় শহরে তা আরও বেশি।
ফ্যানের নিচে বসেও শুকাচ্ছে না শরীরের ঘাম। বাইরে বের হলে তো প্রাণ যায় অবস্থা।
গরমের এই সময় অনেকেরই পেটের সমস্যাসহ নানা রোগ-জীবাণুর সমস্যা দেখা দেয়।
তাই কী খাবেন, সে ব্যাপারে থাকতে হবে সদা সতর্ক।
বার্লি
এটি একধরনের শস্য, যার প্রতি ১০০ গ্রামে ২০ গ্রামের মতো বিটা-গ্লুকন থাকে।
এ ছাড়া বিটা-গ্লুকন রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায়।
ওটস
উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় এর প্রিবায়োটিক কার্যকারিতা রয়েছে।
এতে বিটা-গ্লুকনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে; যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখে এবং কোলন ক্যানসার রোধে ভূমিকা রাখে।
মধু
এতে থাকে ওলিগো-স্যাকারাইড, যা প্রিবায়োটিক হিসেবে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটোবেসিলি ও বিফিডোব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
লাল রঙের খাবার
লাল আটা, চাল, ময়দা প্রিবায়োটিক আঁশের খুব ভালো উৎস।
এ ধরনের আঁশে বিশেষ একটি উপাদান অ্যারাবিনক্সিলান ওলিগোস্যাকারাইড থাকে, যা অন্ত্রের বিফিডো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে অন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
আপেল
আপেলে বিদ্যমান পেকটিনের রয়েছে প্রিবায়োটিক কার্যকারিতা।
এ ছাড়া এটি পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে অন্ত্রের কার্যক্রমকে নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে।
তবে যাঁরা নিয়মিত খান, তাঁরা ছয় মাস পরপর একবার বিরতি দিলে ভালো।
পেঁয়াজ ও রসুন
রসুনের প্রিবায়োটিক অন্ত্রের উপকারী বিফিডোব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা ব্যাকটেরিয়াজনিত অনেক পেটের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
তবে এ ক্ষেত্রে ভাত-শাকের সঙ্গে কাঁচা রসুনের কোয়া খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পেঁয়াজও প্রিবায়োটিক।