অফিসের কাজের চাপ, সংসারের দায়-দায়িত্ব আপনাকে নাজেহাল করে দিচ্ছে?
কিছুতেই মুক্তির পথ খুঁজে পাচ্ছেন না? কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি ট্রাই করে দেখুন, জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে৷

নিজের জন্য খানিকটা সময় আলাদা রাখুন
ব্যাপারটা শুনতে সোনার পাথরবাটির মতো মনে হচ্ছে বটে, কিন্তু নিজের পছন্দের কাজগুলি করতে না পারলে বেঁচে থাকাটাই বৃথা মনে হতে পারে একটা সময়ে৷
তাই যত অসুবিধেই হোক না কেন, অন্যর সুবিধের জন্য নিজেকে পুরোপুরি ভুলে যাবেন না৷
কেউ নাচতে ভালোবাসেন, কারও পছন্দ বই পড়া বা গান শোনা… রোজ না পারলেও মাঝে-মধ্যেই নিজেকে এই উপহারগুলি দিন৷
পছন্দের শিল্পীর গান শুনতে যান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারুন, সিনেমা দেখুন৷

পুষ্টিকর খাবার খান
আপনার শরীর যদি সুস্থ না হয়, তা হলে কিন্তু স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াই করাটা মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে৷
ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করুন, কারণ খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি আপনাকে আরও দুর্বল করে তুলবে৷
তাজা শাকসবজি, ফল, মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডিম, দুধজাত প্রডাক্ট রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়৷ স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে৷

ভেষজের সাহায্য নিতে পারেন
অশ্বগন্ধা, ক্যামোমাইলের মতো কিছু ভেষজ মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে অনেকের ধারণা৷
জিনসেংও ক্রনিক স্ট্রেস কমানোর কাজে ব্যবহৃত হয়৷
রাতে শোওয়ার আগে এক কাপ ক্যামোমাইল চা খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন৷

দারুণ সাহায্য করে অ্যারোমাথেরাপি
অ্যারোমাথেরাপি এবং এসেনশিয়াল অয়েলের যৌথ ব্যবহার স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারে খুব কার্যকর৷ ল্যাভেন্ডার, নেরোলি, চন্দন, কমলালেবুর এসেনশিয়াল অয়েল উত্তেজিত নার্ভগুলিকে শান্ত করে৷
রাতে শোওয়ার আগে স্নানের অভ্যেস আছে? তা হলে সেই জলে মিশিয়ে নিতে পারেন এসেনশিয়াল তেল৷
বালিশে বা আপনার রোজের মাখার ক্রিমেও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন৷
তবে যে জিনিসটি বাজার থেকে কিনছেন, তার শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই ব্যবহার করুন৷

নির্দিষ্ট কয়েকটি রং আপনাকে শান্ত রাখে
নীল, সবুজ, সাদা, গোলাপি, হালকা বেগুনির মতো কয়েকটি রং স্ট্রেস কমাতে দারুণ কার্যকর৷
এই রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে অফিসের ডেস্কে কিছু গাছপালা রাখুন, দেখবেন মানসিকভাবে আপনি অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে উঠবেন৷
অতিরিক্ত তামাক, ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন৷ বেশি রাত জাগবেন না, দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে৷
সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন অ্যাকটিভ থাকার৷ রোজের কাজে-কর্মে যাঁদের প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়, তাঁদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই৷
কিন্তু যারা সেডেন্টারি লাইফস্টাইল লিড করেন, তারা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন, কিছু ব্যায়াম করুন৷
আর এর কোনও কিছুতেই কাজ না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে৷