ঝকঝকে দাঁতে সুন্দর হাসি কেবল আপনার ব্যক্তিত্বকেই আকর্ষণীয় করে না, এটা আপনার সুস্বাস্থ্যেরও পরিচায়ক।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অনেকেই দাঁত সুস্থ রাখার বিষয়ে সচেতন থাকেন না।
ঠেকায় পড়ে দাঁতের চিকিত্সকের কাছে না যাওয়া পর্যন্ত যেন তাঁরা বিষয়টির গুরুত্বই বোঝেন না।
একটু সচেতন হলে এবং কিছু বিষয় নিয়মিত চর্চার মধ্য দিয়ে অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে সারা জীবন সুস্থ-সবল দাঁতের সুন্দর হাসি হাসতে পারবেন আপনি।
দিনে দুই বার ব্রাশ
দিনে দুই বার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এতে দাঁত ভালো থাকবে।
সকালে নাশতার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে এই দাঁত মাজাটা যেন দুই মিনিটের কম সময়ে না হয়, আবার বেশি সময় ধরেও না চলে।
দাঁত ও মাড়ি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে, ব্যাকটেরিয়া ও দাঁতের প্লাক দূর করতে এ সময়টা দরকার।
দিনে চারবারের বেশি অথবা মোট চার মিনিটের বেশি সময় ব্রাশ করলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
যখন দাঁতে অ্যানামেল না থাকে, তখন দাঁত ডেন্টিনের একটি স্তর প্রকাশ করে।
ডেন্টিনের ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে যা স্নায়ুর গোড়ায় দিকে নিয়ে যায়।
এগুলো ট্রিগার করা হলে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
প্রতিদিন এক কাপ চা
চায়ে এমন কিছু উপাদান আছে, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে এবং মাড়ির রোগ সারাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে সেটা দুধ-চিনি মেশানো চা না হওয়া ভালো।
ভারী খাবার দাবারের পর বা বিকেল-সন্ধ্যার অবসরে প্রতিদিন এক কাপ চা দাঁত সুস্থ রাখতে পারে।
খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার
মাড়ি সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত শাক-সবজি ও ফল (যেমন: লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, গাজর, টমেটো, শসা ও লেবু) খাওয়া প্রয়োজন।
গাজর, শসা, আপেল ও পেয়ারা ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে অনেকটা টুথব্রাশের মতোই কাজ করে, যা দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিষ্কারেও সহায়তা করে।
ছাড়ুন কোমল পানীয়
কার্বোনেটেড ড্রিংকস বা কোমল পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি ও সোডা থাকে।
এ সোডায় থাকে ফসফরিক অ্যাসিড, যেটা পানীয়গুলোকে অ্যাসিডযুক্ত স্বাদ দেয়।
সোডা দাঁতের ক্ষতি করে।
সোডায় থাকা অ্যাসিড দাঁতে আক্রমণ করে অ্যানামেল নষ্ট করে দেয়।