হলুদ ত্বকের অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর হিসেবেও ভালো কাজ করে।
ডার্ক স্পট, ফাইন লাইনস বা বলিরেখার মতো সমস্যা দূর করতেও এই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।
হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, এটি শুধুমাত্র খাবারেই ব্যবহার করা হয় না, এটি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, হলুদ মুখের ব্রণ এবং ব্রণর মতো ত্বক সম্পর্কিত আরও অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের এই মৌসুমে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হলুদ লাগালে তা রোদ দূর করে ত্বকের উন্নতি ঘটায়।
আসুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে হলুদের নানামুখী ব্যবহার সম্পর্কে –
তৈলাক্তভাব দূর করে
যে কোনো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করতে হলুদ ও ময়দা মিশিয়ে নিতে পারেন।
এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল কমিয়ে ত্বককে করে তুলবে বেশ সংবেদনশীল।
উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক পেতে হলুদ ও ময়দার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
উজ্জ্বলতা বাড়ায়
লেবুর রসে আছে ব্লিচিং উপাদান এবং হলুদে আছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান।
তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে হলুদের গুঁড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করুন।
আদ্রতা রক্ষা করে
হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের ভেতরের আর্দ্রতা রক্ষা করে উজ্জ্বল ত্বক ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
মধুতে আছে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক আর্দ্র রাখার ক্ষমতা।
ব্রণ দূর করতে
হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, যা ব্রণ দূর করতে ভালো কাজ করে।
ত্বকের নির্জীবতা দূর করতে সাহায্য করে।
কাঁচা হলুদের সঙ্গে চন্দন গুঁড়া, লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ডার্ক সার্কেল দূর করতে
চোখের নিচের কালো দাগ দূর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে হলুদ বেশ কাজ করে।
হলুদে আছে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক তরুণ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
জলপাইয়ের তেল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করে।