Search
Close this search box.

ফেইসে ওয়াক্সিং কি করা উচিত?

আমাদের ত্বকের লোম তোলার পদ্ধতিকে ওয়াক্সিং বলে।

বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিতে আমাদের ত্বকের লোম তোলা যায়।

থ্রেডিং,লেজার পদ্ধতি,মোম দিয়ে লোম তোলা ইত্যাদি।

আমাদের হাতের পায়ের ওয়াক্সিং আমরা নিয়মিত করে থাকি কিন্তু মুখের ওয়াক্সিং করতে আমরা সংকোচ বোধ করি।

প্রচুর চিন্তা করে থাকি আমরা যে ও আমাদের মুখে করা উচিত কিনা।

আজ তাহলে জানা যাক সেই চিন্তাগুলো।মুখের লোম খুব বেশী বড় হলে তার ওয়াক্সিংএর দরকার পরে।

তাও এটা জেনে রাখা দরকারী যে ওয়াক্সিং আমাদের মুখের উন্নতির থেকে বেশী অবনতিই করে।

শুধুমাত্র পেশাদারদের দিয়েই আমাদের মুখের ওয়াক্সিং করানো উচিত নাহলে কিন্তু আমরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হব।

কেন করা উচিত নয়?

মাঝে মাঝে মুখে ওয়াক্সিং করার পর মুখের কিছু কিছু অংশে রক্তের ছোপ দেখা দেয়।

ওয়াক্সিং করার সময় আমাদের মুখের নরম ত্বকের উপর খুব বেশি চাপ পড়ে যায়।

যদি ওয়াক্স স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা যখন তোলা হয় তখন এত জোরে এবং তাড়াতাড়ি তোলা হয় যে আমাদের মুখে রক্তের ছাপ দেখা দেয়।

যদিও খুব একটা ভয় পাওয়ার কিছু নেই কারণ কিছুদিন পরে আবার সব স্বাভাবিক হয় যায় ।

কিন্তু তাও আমাদের মুখের ওয়াক্সিংএর এই ফলটা জেনে রাখা উচিত এবং সেইভাবে নির্ণয় করা উচিত যে আমাদের মুখে ওয়াক্সিং করা উচিত কিনা।

অনভিজ্ঞ হাত দিয়ে মুখের ওয়াক্সিং করলে অনেক সময় ভুল হয়ে যায় ওয়াক্সিং করতে এবং তার ফলে আমাদের মুখের ত্বক ক্ষতি হতে পারে।

যন্ত্রণাদায়ক

আমাদের মুখের ত্বক খুবই সূক্ষ্ম হয় তাই ওয়াক্সিং কয়েকজনের জন্য যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।

আমরা ভাবতেই পারি যে হাত এবং পায়ের ওয়াক্সিং করলে খুব একটা যন্ত্রণা হয়না তাহলে মুখের ওয়াক্সিং করতে গেলে ও খুব একটা কষ্ট হবে না।

এই ধারণাটি একদমই ভুল। কারণ হাত এবং পায়ের থেকে আমাদের মুখের ত্বক খুবই বেশি নরম এবং সূক্ষ হয়।

মুখের লোমের ঘনত্ব অনুযায়ী আমাদের লোম তোলার সময় যন্ত্রণা বেশি বা কম ব্যাথা লাগে।

যার যত বেশি লোমের ঘনত্ব হবে তার ততো বেশি যন্ত্রনা হবে ওয়াক্সিংএর সময়।

কিন্তু ভালো অভিজ্ঞ পেশাদারী মানুষকে দিয়ে করালে তাদের অভিজ্ঞ পদ্ধতিতে আমাদের ব্যথা কম লাগতে পারে।

মুখে একবার ওয়াক্সিং করলে নিয়মিত ওয়াক্সিং করতে লাগে

একবার মুখে ওয়াক্সিং করলে আবার আমাদের মুখের লোম ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই বেড়ে ওঠে।

তাই আমাদের প্রথমবার ওয়াক্সিং করার পর তা নিয়মিত চালিয়ে যেতে হয়।

এর ফলে আমাদের আরেকটি কাজ বাড়ে দৈনন্দিন জীবনে।

আর হাত পা ঢাকা গেলেও মুখ ঢেকে বাইরে বেরোনো সম্ভব হয় না।

তাই প্রথমবার ভেবেচিন্তে প্রথমবার ওয়াক্সিং করা উচিত।

কারণ নিয়মিত  করার পর কয়েকদিন না করলে মনে হবে যে কি একটা যেন করা হয়নি মুখে।

ওয়াক্সিং ভুল পদ্ধতিতে মুখে করা হলে তা আমাদের মুখের অন্তর্বর্ধিত লোম গড়ে তোলে যা একেবারেই কাম্য নয়।

ভুল পদ্ধতিতে ওয়াক্সিং করার ফলে কিন্তু অন্তর্বর্ধিত লোম বেড়ে উঠতে পারে যার ফলে পুজ ভরা ফোঁড়া বা ব্রণ হতে পারে মুখে।

পুজ ভরা ফোঁড়া বা ব্রণ আমাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।

ওয়াক্সিং আমাদের মুখে র‍্যাশও ডেকে আনতে পারে।

মুখে ব্রণ বা ফোঁড়া গড়ে ওঠা আমরা একেবারেই পছন্দ করব না তাই মুখের ওয়াক্সিংএর পদ্ধতি থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ওয়াক্সিং কিন্তু মুখে এলার্জি,মুখের কিছু অংশে হালকা পুড়ে যাওয়া বা জ্বালাতনকে ডেকে আনে।

অনেক সময়ই আমাদের মুখে ওয়াক্সিং করার ফলে মুখে এলার্জি হয়ে ওঠে। সেইগুলো দূর করা খুবই কঠিন হয়ে ওঠে।

কারণ মুখে কিছু হলে তা সবার নজরে প্রথমেই চলে আসে।

তাই খুবই অভিজ্ঞ মানুষকে দিয়ে ওয়াক্সিং করানো উচিত যাঁরা আমাদের ত্বকের সম্বন্ধে অনেক দিন ধরে পরিচিত এবং অমাদের ত্বকের উপর অনেক দিন ধরেই কাজ করেছেন।

গরম ওয়াকস  মুখে লাগালে অনেক সময় তা আমাদের মুখের অল্প কিছু অংশকে পুড়িয়ে দেয়।

তাই আবারও লিখছি আমাদের উচিত খুবই অভিজ্ঞ পেশাদারী লোককে দিয়ে ওয়াক্সিং করানো নাহলে মুখের ওয়াক্সিং কিন্ত আমাদের লোম তোলার থেকে আরো বেশী বড় সমস্যা এনে দিতে পারে।

ঠোঁটের উপরের অংশের ওয়াক্সিং

আমাদের ঠোঁটের উপরের ত্বকের ওয়াক্সিং করা খুবই কঠিন এবং অনেক সময়ই আমাদের ঠোঁটের উপরের ত্বক কেটে যায়।

তাই খুবই সূক্ষ পদ্ধতিতে এবং মনোযোগ দিয়ে ঠোঁটের উপরের ত্বকের ওয়াক্সিং করা দরকার না হলে সহজেই চামড়া কেটে যেতে পারে যা আমাদের একেবারই কাম্য না।

মুখের কিছু চামড়া ও উঠে আসে ওয়াক্সিং করার সাথে

মুখের কিছু চামড়া ও উঠে আসে ওয়াক্সিং করার সাথে তাই সাবধানে ওয়াক্সিং করার পদ্ধতি আমাদের মেনে চলা উচিত।

নাহলে চামড়ার অংশ বেরিয়ে এলে তা আমাদের মুখে জ্বালার সৃষ্টি করতে সক্ষম হতে পারে।

তাই যতটা পারা যায় সাবধানে মুখের ওয়াক্সিং করা উচিত।

অনেক বিশেষজ্ঞদের দাবী যে মুখের ওয়াক্সিং ৩০ বছর পর মহিলাদের করা উচিত।

বার বার মুখের ওয়াক্সিং করলে তা আমাদের মুখের পোর্সদের বড় দেখায়।

পোর্সদের বড় দেখানোর ফলে আমাদের মুখ বয়স্ক দেখায় আমাদের আসল বয়সের থেকে।

তাই ওয়াক্সিং কিন্তু আমাদের মুখের ভয়ানক ভাবে ক্ষতিও করে দিতে পারে।

এই ছিলো ওয়াক্সিং করার ফলাফল।

আমাদের প্রথমে চিন্তা করতে হবে যে মুখের ওয়াক্সিং করা আমাদের জন্য খুব জরুরী কি না?

খুব দরকার না পড়লে মুখের ওয়াক্সিং না করাই ভালো।

কারণ একটা ছোট ভুল কিন্তু আমাদের মুখে দাগ এনে দিতে পারে।

তাই খুবই ভেবে চিন্তে আপনাদের নির্ণয় নিতে হবে যে ওয়াক্সিং করবেন কি করবেন না।

যদি মুখের ওয়াক্সিং করেন তাহলে অবশ্যই পেশাদারী লোক কে দিয়ে করাবেন।

নিজে নিজে মুখের ওয়াক্সিং করা খুবই কঠিন আর ভুল হলে কিন্তু তা সমাধান করা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে ওঠে।