Search
Close this search box.

শীতে ত্বক উজ্জ্বল আর কোমল রাখার পন্থা

ঠাণ্ডা পানি, শীতল শুষ্ক বাতাস ত্বককে করে দেয় খসখসে অমসৃণ।

আর ঘরে যারা ‘হিটার’ ব্যবহার করেন তাদের ত্বক আরও বেশি আর্দ্রতা হারায়।

তাই শীত মৌসুম আসতে না আসতেই ত্বক পরিচর্যায় নতুন বিষয় যুক্ত করার প্রয়োজন হয়।

ত্বকের যত্ন নেওয়ার রুটিন পরিবর্তন

“ঋতু পরিবর্তনের সাথে ত্বক পরিচর্যার প্রসাধনীও পরিবর্তন করতে হয়”- রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন ভিত্তিক ত্বক-বিশেষজ্ঞ কারমেন কাস্টিলা।

আর সেটা হতে পারে হালকার পরিবর্তে ভারী, ঘন ও ক্রিম-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার।

পাশাপাশি মুখ ধোয়ার রুটিন বদলানোর পরামর্শ দেন তিনি।

যাদের ত্বক সংবেদনশীল, শুষ্ক তাদের ক্রিম বা তেল-ভিত্তিক ক্লেঞ্জার ব্যবহার করতে হবে। অনেকের আবার ক্লেঞ্জার ব্যবহার বন্ধ করলে উপকার মেলে।

এছাড়া রাতে মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানে চাইতে ফেইসওয়াশ হবে উপকারী।

আর্দ্রতা রক্ষা করার উপাদান সম্পর্কে জানা

শীতবান্ধব প্রসধনী কিনতে গেল ‘সেরামাইডস’ বা ‘ফ্যাটি অ্যাসিড’ সমৃদ্ধ পণ্য কেনার পরামর্শ দেন- কাস্টিলা।

এই উপাদানগুলো ত্বকে সুরক্ষার স্তর তৈরি করে।

‘হিউমেকটেন্ট’ এমন একটি উপাদান, যা পরিবেশ থেকে পানি আকর্ষণ করে ত্বকের গভীরে নিতে সাহায্য করে। তাই ‘হায়ালুরনিক অ্যাসিড’ এবং ‘গ্লিসারিন’ ‍যুক্ত প্রসাধনী শীতে ব্যবহার করা উপকারী।

এছাড়া ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি এবং শিয়া বাটার। এসব উপাদান যুক্ত প্রসাধনী ঘন হয় যা ত্বক শুষ্ক হতে দেয় না।

যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের সুগন্ধ-মুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের মত দেন, এই বিশেষজ্ঞ।

তার কথায়, “গন্ধযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার কমালে অ্যালার্জি বা একজিমা’র সমস্যা কমে।”

ত্বকের সুরক্ষককে রক্ষা করা

শীতের সময়ে জীবনযাত্রায় সাধারণ কিছু পরিবর্তনে ত্বকের সুরক্ষা বাড়ানো যায়।

কাস্টিলা বলেন, “বেশি শীতের সময় হাতমোজা বা গ্লভস পরা উপকরী। কোনো কিছু ধোয়ার সময় রাবারের গ্লভস পরলে হাতের ত্বক ঠাণ্ডা পানি থেকে রক্ষা পায়।”

এছাড়া প্রতিবার পানির স্পর্শের পর ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। এতে ত্বক শুষ্ক হওয়া, চামড়া ফাটার সমস্যা রোধ হবে।

“গোসলে অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহার এড়াতে হবে। আর গোসলের পর দেহ ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়”- বলেন তিনি।

এছাড়া শীতের সময় ত্বক ভেতর থেকে আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত পানি করাও জরুরি।