Search
Close this search box.

ভ্যাজাইনার স্বাস্থ্যরক্ষায় যে সচেতনতা আবশ্যক

দীর্ঘকাল ধরে ভ্যাজাইনা বা নারীর গোপনাঙ্গ নিয়ে কোনওরকম আলোচনাই হতো না প্রকাশ্যে। কিন্তু ইদানীং সে সব বাধা অনেকটাই দূর হয়েছে।

বিশেষ করে ডাক্তাররাও প্রকাশ্যেই বলছেন যে এ দেশে এখনও মেয়েরা যোনির স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিয়ে তেমন চিন্তাভাবনা করেন না, ফলে নানা ধরনের রোগের সূত্রপাত হয়।

ভ্যাজাইনার স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বাড়িতেই কিছু নিয়মকানুন মেনে চলুন।

সুতির অন্তর্বাস পরুন, বিশেষ করে গরমকালে। যারা থং পরতে অভ্যস্ত, তাদের জন্যও একই নিয়ম।

অন্তর্বাস প্রতিদিন, পারলে দিনে দুই বার বদলান। রাতের বেলা অন্তর্বাস না পরলে যৌন অঙ্গ শ্বাস নিতে পারে।

প্রতিবার মূত্রত্যাগের পর ভ্যাজাইনা ধুয়ে মুছে নিতে পারলে খুব ভালো হয়। মোছার সময় সামনে থেকে পিছনের দিকে টিস্যু নিয়ে যান, ভুলেও উলটোটা করবেন না।

সাঁতার কাটতে ভালোবাসেন? জল থেকে উঠে তাড়াতাড়ি সাঁতারের পোশাক ছেড়ে ফেলুন, তাতে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমবে।

ভ্যাজাইনা ভেজা রাখবেন না। এতে ইনফেকশনের আশংকা বাড়ে। যথাসম্ভব আদ্র রাখার চেষ্টা করুন।

স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন সারাদিনে, সুস্থ থাকার জন্য ভ্যাজাইনার আর্দ্র থাকাও প্রয়োজন। তাতে দুর্গন্ধও কমে।

দই খান নিয়ম করে। দইয়ের ব্যাকটেরিয়া ভ্যাজাইনার পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে সহায়ক, সাথে ইস্ট ইনফেকশন তাড়ায়।

রোজের খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি, সাইট্রাস ফল রাখবেন অবশ্যই।

আয়রনযুক্ত শাকসবজি সারা শরীরের পাশাপাশি ভ্যাজাইনাতেও রক্ত সংবাহন বাড়ায়, তাতে আর্দ্রতা বজায় থাকে।

লেবুজাতীয় ফলের ভিটামিন সি বাড়ায় প্রতিরোধক্ষমতা।

ভ্যাজাইনার পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে ক্র্যানবেরি জ্যুস খুব কার্যকর। যারা ইউরিনারি ট্র্যাক্টের ইনফেকশনে ভোগেন, তাদের পক্ষেও ক্র্যানবেরি জ্যুস ভালো।

নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ করলে শক্তিশালী ও সুস্থ হবে আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গের সমস্ত পেশি।

আজকাল এমন কিছু প্রডাক্ট বাজারে পাওয়া যায় যেগুলি ভ্যাজাইনার পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রেখে তা পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করে৷

প্রয়োজনে গাইনিকোলজিস্টের পরামর্শ নিন। নিজের শরীর নিয়ে অবহেলা করবেন না।