Search
Close this search box.

কর্মজীবী নারীদের জন্য ৫ মিনিটে করা যায় এমন ১০টি হেয়ার স্টাইল

রোজ অফিসে কীভাবে চুল বেঁধে যাবেন, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন না?

মানছি, আপনার বাড়িতে অনেক কাজ। কিন্তু ওটাও তো অফিস।

আপনার কাজেরই জায়গা! তাই যা হোক করে সেজে, চুল বেঁধে চলে গেলে তো আর হবে না!

এদিকে কাজ সেরে অফিসের জন্য রেডি হবার সময়ও নিশ্চয়ই আপনার হাতে কম থাকে।

তাই আপনার জন্যে আজ নিয়ে এসেছি ৫ মিনিটে কুইক হেয়ার স্টাইলের ১০ টি দারুণ নমুনা।

যা আপনাকে অফিসের জন্য একদম পাক্কা পারফেক্ট লুকে সাজিয়ে তুলবে।

১. ক্লাসিক বান 

হাতে সময় একদম নেই। কিন্তু তাও আপনার লম্বা চুলকে অফিসে যাবার আগে ম্যানেজ তো করতেই হবে!

চাপ নেই। সিম্পল ক্লাসিক বান বেঁধে ফেলুন।

দেখবেন অফিসে বসে কাজ করার সময় চুল বারবার আপনার মুখে পড়ে আপনাকে বিরক্তও করছে না।

আর আপনিও দিব্যি আরামে বসে সব কাজ করে ফেলছেন।

২. সাইড ব্রেইড 

আপনার চুল কি একটু লম্বা? নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন না কীভাবে চুলকে ম্যানেজ করবেন?

সাইড করে চুলে আলতো বিনুনি করে নিন।

দেখবেন বেশ একটা ফর্মাল আর অফিস অফিস মার্কা লুকও এসছে, আর আপনার স্টাইলও বেশ হচ্ছে।

৩. স্লিক পনিটেল  

আমার মতোই নিশ্চয়ই সিম্পল পনিটেল আপনারও খুব প্রিয়?

হাতে সময় যদি না থাকে, তাহলে ৫ মিনিট কেন, মাত্র ২ মিনিতেই এই পনিটেল আপনি করে ফেলতে পারবেন।

এখন দেখুন পনিটেল কোথায় বাঁধবেন, মাথার ওপরে না নীচে!

৪. হাফ ক্রাউন ব্রেইড 

মাঝারি বা লম্বা চুল যদি হয়, তাহলে মানছি যে ৫ মিনিটে তাকে ম্যানেজ করা একটু কঠিনই বটে।

কিন্তু অল্প কিছু চুল নিয়ে দু’দিকে দুটো বিনুনি করে ছবির  মতো করে আটকে নিন।

তারপর বাকি চুলটা ছেড়ে রাখুন। দেখবেন মুখের ওপর বারবার চুলের জ্বালায় আপনি বিরক্তও হচ্ছেন না।

অথচ কী সুন্দর একটা এলিগ্যান্ট স্টাইলও হয়েছে!

৫. স্লিক নট স্টাইল  

হাতে একদম সময় না থাকলে কিন্তু এই হেয়ার স্টাইলটা আপনার জন্য পারফেক্ট  হতে পারে।

জাস্ট একটা নর্মাল পনিটেল বাঁধুন নিচু করে।

তারপর খোঁপার মতো করে বেঁধে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন।

দেখবেন বেশ একটা সুন্দর ফর্মাল লুক আসছে।

সবসময়ের অফিসের জন্য এটাই আপনার বেস্ট অপশন হতে পারে।

৬. ব্রেইডেড পনিটেল  

চুলকে দারুণ ভাবে অফিসের লুকে ম্যানেজ করার জন্য আর তার সাথে একটা স্টাইলিশ ভাব যদি আনতে চান, তাহলে এই হেয়ার স্টাইলটা কিন্তু আপনার জন্যে মাস্ট।

ঘাড়ের কাছে অবধি চুলে বিনুনি করে নিন।

তারপর বাকি অংশটা নিয়ে ছেড়ে রেখে পনিটেল করে ফেলুন।

দেখবেন বেশ একটা সিম্পল, কিন্তু ইউনিক স্টাইল হয়েছে।

৭. ইনভারটেড পনিটেল

পনিটেল তো রোজই বাঁধলেন। আপনাকে ওই একই স্টাইলে দেখে দেখে  আপনি নিজে তো বটেই, আপনার অফিসের কলিগরাও কিন্তু খুব ক্লান্ত।

এদিকে পনিটেল আপনার ভীষণ প্রিয় স্টাইল। তাই একে ছাড়তেও পারছেন না!

এবার একটু অন্য কায়দায় পনিটেল করুন। আলগা করে পনিটেল বাঁধুন।

তারপর ছবির মতো চুলে একটা ল্যুপ বানিয়ে নীচে নামান। তারপর গোটা পনিটেলটাকেই ইনভার্ট করে আটকে নিন।

দেখবেন আপনার চুলের কায়দায় সব্বাইকে বাজিমাত করে ফেলেছেন।

৮. ক্রাউন ব্রেইড  

চুলের দুদিকে বিনুনি করে ছবির মতো করে মাথায় এভাবে ক্লিপ দিয়ে আটকে ফেলুন।

এই ক্রাউন ব্রেইড স্টাইলে দেখবেন আপনার নিজেরও কেমন রানী রানী ফিলিংস আসবে।

আর তারপর অফিসে সবাই আপনাকে এই হেয়ার স্টাইলের রহস্য জানতে চেয়ে পাগল করে দিলে কিন্তু আমাদের দায়িত্ব নয়।

৯. ফ্রেঞ্চ ব্রেইড

অফিসে কাজ করতে যাচ্ছেন। তাই আপনার হেয়ার স্টাইলটাও কিন্তু সেই অফিসেরই মতো হতে হবে।

কাজের সময়, বা ধরুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর সময় আপনি বারবার মুখের ওপর এসে পড়া চুল সরাতেই ব্যস্ত থেকে গেলেন, সেটা কিন্তু মোটেই ভালো ব্যাপার নয়।

তার থেকে এই ফ্রেঞ্চ ব্রেইড স্টাইল অফিসে করে যান।

দেখবেন চুল টাইট ভাবে বাঁধাও হল, আবার স্টাইলও করা হল!

১০. লো চিগনন 

স্পেশালি আপনি যদি অফিসে যাবার জন্যই কোনো ইউনিক স্টাইল করতে চান, তাহলে এটা কিন্তু অনায়াসে করে যেতে পারেন।

নীচের দিকে চুল এনে একটা খোঁপা টাইপের করে ফেলুন।

এতে চুল মুখেও পড়বে না, আর আপনিও বেশ একটা প্রফেশনাল লুক পাবেন।

তাহলে এবার অফিসে যাবার আগে হাতে সময় না থাকলেও নো টেনশন।

নিজের চুলকে জাস্ট ৫ মিনিট দিন, আর হয়ে উঠুন পারফেক্ট মিস অফিস!

তারপর দেখবেন বস থেকে শুরু করে আপনার কলিগ—সব্বাই আপনার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছেন!