সব নিয়ম মেনে ব্রাশ করছেন, তা সত্ত্বেও দাঁতের হলুদ ছোপ যাচ্ছে না কিছুতেই?
বিশেষ করে লাল বা গোলাপির মতো উজ্জ্বল শেডের লিপস্টিক লাগালেই আরও বেশি চোখে পড়ছে হলদে ভাব?
এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার বাসনা যতই উদগ্রীব হোক না কেন, কয়েকটা জরুরি তথ্য মনে রাখাটাও একইরকম প্রয়োজনীয়।
আমাদের দাঁতের দু’টি স্তর আছে – ভিতরেরটির নাম ডেন্টিন, সেটি একটু হলদেটে।
উপরের সাদা ধবধবে স্তরটি হল এনামেল।
এনামেল যদি ক্রমশ ক্ষয় হতে আরম্ভ করে, তখনই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে ভিতরের ডেন্টিন।
এবার এই পরিস্থিতি এড়াতে আপনি যত বেশিবার ব্রাশ করবেন, বা স্কেলিং করাবেন তত বাড়বে এনামেলের ক্ষয়।
তাই দিনে তিনবারের বেশি ব্রাশ একেবারেই করা উচিত নয়।
ব্রাশ করার সময় খুব জোরে ঘষা চলবে না।
লেবুর রস বা বেকিং সোডা জাতীয় জিনিসপত্র দিয়ে ঘষাঘষি করলে সাময়িক ফল পাবেন বটে, কিন্তু আখেরে এনামেল আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অতিরিক্ত মদ্যপান- বিশেষ করে রেড ওয়াইন, ধূমপান, চা-কফি পান, ফলের রস, টক খাবার বা সফট ড্রিঙ্ক খাওয়ার অভ্যেস থাকলেও দাঁতের গায়ে ছোপ পড়ে।
তাই এই ধরনের পানীয় সেবন করার ১০ মিনিটের মধ্যে ভালো করে কুলকুচো করে নেওয়াটা একান্ত জরুরি।
তা হলে কি এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও রাস্তা নেই? আছে।
প্রথমেই একটি রোটেটিং বা অসিলেটিং ব্রাশ কিনুন।
ব্যাটারিচালিত অসিলেটিং ব্রাশ নিশ্চিতভাবেই আপনার দাঁত ম্যানুয়াল ব্রাশের চেয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে।
হলদেভাব তাড়ানোর উপযোগী পেস্ট বা মাউথওয়াশ পাওয়া যায় বাজারে।
কিন্তু তা টানা মাসখানেকের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয় – তাতে এনামেল ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা আর জলের মিশ্রণও।
কিন্তু আগেই বলা হয়েছে, এটি এনামেল ক্ষইয়ে দিতে পারে, তাই ঘন ঘন ব্যবহার না করাই ভালো।
যে কোনও ব্লিচিং এজেন্ট ইউজ় করার আগে অবশ্যই আপনার ডেন্টিস্টের সঙ্গে একবার কথা বলে নেবেন।