যতই আমরা নিয়ম করে রূপচর্চা করি না কেন, ফেসিয়াল কিন্তু আমাদের করা চাই।
এটা যে শুধু একটা ইন্সট্যান্ট গ্লো দেয় তা তো নয়, ফেসিয়াল করার সময়ে মুখের মধ্যে ম্যাসাজ করা হয়।
এর ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, অক্সিজেনের প্রবাহ ভালো হয়।
তাই মাঝে মাঝে ফেসিয়াল করা ভালো।
কিন্তু সমস্যা হলো অন্য জায়গায়।
কোন ধরণের ফেসিয়াল আপনি করবেন সেটাই তো অনেক সময়ে বুঝে উঠতে সমস্যা হয়।
বাড়িতে করলে আপনি এই সমস্যায় পড়বেন, আর পার্লারে গেলে ওখানে আপনাকে দামী একটি ফেসিয়াল হয়তো করতে বলা হবে, যেটা আপনার নাও লাগতে পারে।
আজ তাই আপনাদের জানিয়ে দিবো কোন কোন ফেসিয়াল আপনার পক্ষে সবচেয়ে উপকারী।
১. ডি ট্যান ফেসিয়াল
আমাদের তো রোদের মধ্যে বাইরে যেতেই হয়। তাই ট্যান পরে যাওয়া খুবই সহজ ব্যাপার।
আর তৈলাক্ত ত্বক হলে ট্যান বেশি পড়ে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেসিয়াল।
এটি মেলানিন উৎপাদন কম করে। ফলে তেল নিঃসরণ কম হয়।
আর ট্যান খুব তাড়াতাড়ি কমিয়েও আনে।
২. ডায়মন্ড ফেসিয়াল
এটি সব ধরণের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। নাম থেকেই বুঝতে পারছেন এটি একদম ডায়মন্ডের মতো চকচকে লুক আনবে।
এই ফেসিয়াল কিন্তু বলিরেখা কম করে, ব্রণ হলে তাও কমিয়ে আনে।
আর বিয়েবাড়ি যাওয়ার আগে এই ফেসিয়াল কিন্তু জাস্ট অন্য মাত্রা আনবে।
৩. অ্যারোমাথেরাপি ফেসিয়াল
আমাদের সুন্দর ত্বক হওয়ার জন্য কিন্তু মন- মেজাজ ভালো থাকা খুব দরকার।
মন ভালো থাকলে তার ছাপ পড়ে মুখে। তাই ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ দূর করা দরকার।
এই ফেসিয়াল সুন্দর গন্ধের মাধ্যমে আপনার মনকে রিল্যাক্স করবে।
চিন্তা কম করার মতো মানসিক প্রশান্তি আনবে।
এতে আছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যারোম্যাটিক অয়েল, যা আপনাকে চাঙ্গা রাখবে।
সব ধরণের ত্বকের জন্য এটি ভালো।
৪. ফটো ফেসিয়াল
এই ফেসিয়াল সরাসরি ব্রণ, বলিরেখা এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
এটি একটি বিশেষ পদ্ধতি, তাই সব জায়গায় এটি করতে পারবেন না।
বিশেষ দক্ষ হাতের মাধ্যমেই এই ফেসিয়াল করা উচিৎ।
একটি বিশেষ ধরণের আলো ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করে আর সমস্যার সমাধান করে।
৫. গোল্ড ফেসিয়াল
নাম থেকেই বুঝতে পারছেন, সোনার মতো উজ্জ্বল ত্বক পাবেন আপনি এই গোল্ড ফেসিয়ালের মধ্যে দিয়ে।
এটি যে কোনও ত্বকের ক্ষেত্রেই উপযোগী।
বিয়ের দিন কনে যদি এই ফেসিয়াল করে তাহলে তার বিশেষ ওই দিন কিন্তু আরও বিশেষ হয়ে উঠবে।
৬. স্কিন লাইটেনিং ফেসিয়াল
এটি মূলত শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভালো।
এর মধ্যে যে যে হার্ব ব্যবহার করা হয় তা স্কিন ভিতর থেকে নারিশ করে, ময়েশ্চার ধরে রাখে।
আর যদি আপনার গায়ের রঙ শ্যামলা হয়, আপনি খানিক উজ্জ্বল হতে চান, তাহলে এই ফেসিয়ালের হাত ধরতে পারেন।
৭. রেড ওয়াইন ফেসিয়াল
গবেষণা করে দেখা গেছে, রেড ওয়াইন ভিটামিন সি’র থেকে ২০ গুণ বেশি আর ভিটামিন ই’র থেকে ৫০ গুণ বেশি কাজ দেয় স্কিনের সমস্যা সমাধান করতে।
রেড ওয়াইনে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্কিনের ইলাসটিসিটি ধরে রাখে।
তাই বলিরেখা সহজে হয় না, স্কিন বুড়িয়ে যায় না।
৮. ওয়াটার মেলন ফেসিয়াল
এই গরমে এই ফেসিয়াল কিন্তু অনবদ্য কাজ দেয়।
গরমের ফলে আপনার স্কিন যে তাপ সহ্য করে, সেই তাপ কিন্তু সহজে স্কিন থেকে যায় না।
তরমুজের ঠাণ্ডা ভাব সেই তাপ কমিয়ে আনে।
এর পাশাপাশি এই ফেসিয়াল স্কিনকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। স্কিন তাই হয় সুন্দর, উজ্জ্বল।
৯. সেনসিগলিও ফেসিয়াল
সেনসিটিভ স্কিনের মানুষদের কিন্তু খুবই সমস্যা। চট করে কোনও কিছু তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন না।
কিন্তু এই ফেসিয়াল তাঁদের জন্যই।
এটি অন্য ফেসিয়ালের মতো সেনসিটিভ স্কিনে তেমন সমস্যা তৈরি করে না।
১০. অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল
বয়স ৪০ হয়েছে তো কী, বুড়িয়ে যাবেন তাতেই? একদমই না।
এই ফেসিয়াল করে দেখুন নিয়ম করে। এটি চামড়া কুঁচকে যেতে দেয় না, চামড়া টানটান রাখে।
তাই বলিরেখাও হয় না। আর ভিতর থেকে ময়েশ্চার ধরে রাখে।