চুল পেকে গিয়েছে? এরকম পরিস্থিতিতে কী করা যায়?
অনেকেই অবশ্য পাড়ার দোকান থেকে কেমিক্যাল ডাইয়ের প্যাকেট কিনে ফেলছেন।
কিন্তু মনে রাখতে হবে কেমিক্যাল ডাই কিন্তু আপনার চুলের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে!
সেটা নিশ্চয়ই আপনি চান না! তাই রাসায়নিক রাখুন, বরং বেছে নিন প্রাকৃতিক বিকল্প।
এসব বিকল্প আপনার হাতের কাছেই রয়েছে, ব্যবহার করাও সহজ।
আর সবচেয়ে বড়ো পাওনা হলো, এসব বিকল্প ব্যবহার করলে আপনার চুল যেমন কালো হবে।
সেই সঙ্গে ভালোও হবে! চোখ বুলিয়ে নিন!
কালো চায়ের নির্যাস
এক কাপ জলে দু’চামচ চা পাতা দিয়ে ফোটান। ফুটে গেলে চা ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন।
চুল আর মাথায় এই চা ঢেলে মিনিট দুয়েক মাসাজ করে এক ঘণ্টা রেখে দিন।
এক ঘণ্টা পর কোমল সালফেট-বিহীন কোমল শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিন।
সপ্তাহে দু’ থেকে তিনবার করতে হবে।
নারকেল তেল ও লেবুর রস
দু’ টেবিলচামচ নারকেল তেলে দু’ চাচামচ লেবুর রস মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন।
এবার স্ক্যাল্পে আর চুলে মিশ্রণটা ভালোভাবে মাসাজ করে আধঘণ্টা রাখুন।
কোমল শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কারিপাতার তেল
তিন টেবিলচামচ নারকেল তেলে একমুঠো কারিপাতা দিয়ে ফোটান।
তেলটা ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে মাথায় ও গোটা চুলে মেখে পনেরো মিনিট মাসাজ করুন।
তারপর আরও আধঘণ্টা রেখে কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
জবা ও আমলকি
কয়েকটা জবাফুল আর একমুঠো জবাপাতা চটকে তিন টেবিলচামচ মতো পেস্ট বানিয়ে নিন।
তার সঙ্গে তিন টেবিলচামচ আমলা গুঁড়ো মিশিয়ে একটু জল দিয়ে পাতলা করে নিন।
মাথায় আর চুলে ভালোভাবে মেখে একঘণ্টা রাখুন।
এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নেবেন। সপ্তাহে বারদুয়েক করলেই চুল কালো হতে শুরু করবে।
আমলা তেল
এক কাপ নারকেল তেলে তিন-চারটে শুকোনো আমলকি দিয়ে গরম করুন।
তেল ফুটতে শুরু করলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে বোতলে ভরে রাখুন।
প্রতিবার ব্যবহারের সময় দু’ চামচ করে তেল নিয়ে মাথায় ও গোটা চুলে ভালো করে মাখুন।
অন্তত মিনিট পনেরো মাসাজ করতে হবে। মাসাজের পর আরও আধঘণ্টা রেখে দিন।
রাতে মেখে শুয়েও পড়তে পারেন। সকালে উঠে কোমল শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।