ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তো? গোটা মুখ ভর্তি ব্রণ, পুরনো দাগ আর অনেক কষ্টেও যাচ্ছে না!
টিভিতে অ্যাড দেখে বাজারে যেসমস্ত দামী দামী ক্রিম পাওয়া যায়, যারা মুহূর্তে ব্রণের সমস্যার সমাধান করবে বলে দাবি করে, সেসব ক্রিম ব্যবহার করেও ফল পাননি?
জেনে নিন সমাধানের উপায়।
ভালো করে ঘুমান আর খান
ঘুম কিন্তু আমাদের স্ট্রেস কমায়। এখনকার জীবনযাত্রায় স্ট্রেস, টেনশন আমাদের নিত্যসঙ্গী।
স্ট্রেসের ছাপ আপনার মুখে পড়তে বাধ্য। তাই ভালো করে ঘুমান।
তাছাড়া ঘুম কিন্তু আমাদের শরীরে টক্সিনকেও দূর করে।
টক্সিন দূরে থাকার ফলে ব্রণর হাত থেকে খানিক রেহাই পাওয়া যায়। ডায়েটও পাল্টান।
তেল-ঝাল দেওয়া খাবারের বদলে নর্মাল খাবার খান। তেল কম খান।
খাবারের তালিকায় ওমেগা-৩ যোগ করুন। ওমেগা-৩ ত্বকের প্রদাহকে কমায়।
আর দেখবেন সারাদিনে যেন প্রচুর পানি খাওয়া হয়। কারণ পানি আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিনগুলিকে দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও ত্বককে পরিষ্কার রাখুন যাতে ত্বকে তেল-ময়লা না জমতে পারে ও তা থেকে জীবাণুর সংক্রমণ হয়ে ব্রণ না হতে পারে।
এছাড়া ব্রণ হয়ে থাকলে ব্রণ ও তার দাগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য কয়েকটি সহজ ও ঘরোয়া পদ্ধতি ট্রাই করতে পারেন।
বরফ
ব্রণ যদি লাল হয়ে ফুলে যায়, ব্যথা করে, তাহলে তা চটজলদি কমানোর জন্য একটুকরো বরফ নিয়ে ন্যাকড়ায় বেঁধে সেখানে লাগান।
দেখবেন ব্যথা বা জ্বালা অনেকটাই কমেছে। আপনি আরামও পাচ্ছেন।
এছাড়া বরফ আক্রান্ত এলাকায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে ও ত্বকের গ্রন্থিগুলিকে তেল ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে।
বেকিং সোডা
ব্রণের দাগকে দূর করার সহজ উপায় হল বেকিং সোডা।
বেকিং সোডা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে পরিষ্কার করে ও প্রদাহর হাত থেকে মুক্তি দেয়।
অল্প হালকা গরম জলে বেকিং সোডা নিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। তারপর মুখে মেখে ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়ম করে করুন।
দেখবেন আপনার ব্রণর দাগ হালকা হচ্ছে।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল কিছু গুণ থাকে যা ব্রণ দূর করার জন্য খুবই উপযোগী।
ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় নিয়ম করে টি ট্রি অয়েল তুলো করে লাগান।
দেখবেন ব্রণ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে গেছে।
তাহলে ব্রণ সমস্যার মুশকিল আসানের কয়েকটা উপায় জেনে নিলেন।
দেরি না করে জলদি ব্যবহার করুন। তবে পার্মানেন্ট ম্যাজিক যদি চান, চান যদি ব্রণ থেকে একেবারেই মুক্তি পেতে, তাহলে কিন্তু জীবনযাত্রাকে পাল্টান।
সঠিক খাবার খান, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান আর ঘুমান। দেখবেন আপনি সুস্থ, চাপমুক্ত, ফুরফুরে থাকলে আপনার ত্বকও হাসবে!