এসেনশিয়াল অয়েল কতটুকু অপরিহার্য?

ঘরে বাইরে নানান চাপের কারণে মনটা বিভ্রান্ত হয়ে আছে?

সারাদিন অসম্ভব ক্লান্তিবোধ অথচ বিছানায় শুলে আর ঘুমের দেখা নেই?

রক্তচাপও বেড়ে থাকছে অনেকটাই?

এরকম হলে একদিকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে।

অন্যদিকে স্নায়ুতন্ত্র ঠান্ডা করার ব্যবস্থাটাও করতে হবে।

মন শান্ত করা, মনের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য বেছে নিতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল।

যে কোনও কেরিয়ার অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পালস পয়েন্টে মাখুন।

অথবা স্নানের জলে মিশিয়েও নিতে পারেন।

ক্লান্তি কেটে মন নিমেষে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

ল্যাভেন্ডার

উত্তেজনায় টানটান স্নায়ু শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের ভূমিকা সকলেরই জানা!

ঘুম পাড়াতেও জুড়ি নেই এই সুগন্ধের।

স্নানের জলে কয়েকফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ফেলে দিন। শরীর, মন, দুইই স্নিগ্ধ হয়ে উঠবে।

গোলাপ

মাথার যন্ত্রণা, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও গোলাপের সুগন্ধ কার্যকরী।

গোলাপের সুগন্ধ মন শান্ত করে, ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে গোলাপের নির্যাস ব্যবহার করা হয়।

স্নানের জলে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, অথবা সরাসরি পালস পয়েন্টে লাগান।

ডিফিউজারে গোলাপের সুগন্ধও খুব ভালো লাগে।

ক্যামোমাইল

প্রচণ্ড কাজের চাপে মাথা তুলতে পারছেন না? নানান সমস্যায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে?

যে কোনও কেরিয়ার অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নাভিতে লাগান।

নিয়মিত লাগালে মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে।

ইলাং ইলাং

মন শান্ত ফুরফুরে রাখতে জুড়ি নেই ইলাং ইলাং-এর।

হৃদস্পন্দনের হার কমিয়ে মন হালকা করতে হলে বেছে নিন এই এসেনশিয়াল অয়েলটি।

মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ বা যেকোনও নেগেটিভ ইমোশন বের করে উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে ইলাং ইলাং।

ডিফিউজারে ইলাং ইলাং এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে রাখুন, ঘর ভরে থাকবে সুগন্ধে, মনও বশে থাকবে।

বার্গামট

বুঝতেই পারছেন তরতাজা সুগন্ধে নিমেষে মন চনমনে করে তুলতে বার্গামট সবসময়ই প্রথম সারিতে।

লেবুজাতীয় ফলের খোসা থেকে বের করা হয় এই এসেনশিয়াল অয়েলটি।

একাধিক চিনা ভেষজ ওষুধে বার্গামট প্রয়োগ করা হয়।

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমানো, পেট ভালো রাখার মতো নানান সমস্যায় কাজ দেয় বার্গামট।

মনে এনার্জি আর আনন্দের বোধও আনতে পারে বার্গামট।

জুঁই

জুঁইয়ের মিষ্টি ফুলেল গন্ধ মানেই রোমান্সের হাতছানি!

একান্ত ভারতীয় সুবাস যদি কিছু থাকে, তা জুঁই।

জুঁইয়ের সুগন্ধ স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে, কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমের ভাব আসে না।

সরাসরি বোতল থেকে জুঁইয়ের গন্ধ শুঁকতে পারেন, বা ডিফিউজারে দিয়ে রাখতেও পারেন।